Covid19 – লকডাউনের প্রথম দিনেই আইন ভাঙার ভিন্ন ছবি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক : রাজ্যজুড়ে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন। সকাল সাতটা থেকে বেলা দশটা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকলেও এরপর আর কোন দোকানপাট খোলা থাকবে না। অথচ সেই নির্দেশিকা অমান্য করে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছিলেন।
তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে পথে নামতে হলো পুলিশ প্রশাসনকে। রবিবার সকাল ১০ টার পর সদর মহকুমা শাসক রকিবুর রহমান ও ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসনের একটি বিশেষ দল কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পৌঁছান এবং দোকানপাট বন্ধের জন্য অভিযান চালান হয়।
পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকে প্রচার চালানো হয় সময়সূচী ও বিধি নিষেধ নিয়ে। এর পরেও বেশ কিছু মানুষ নিয়ম নীতি না মেনে শহরের বেশ কিছু স্থানে চলাচলের চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে, কখনোবা বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করেন সেই সমস্ত সাধারন মানুষের পাশাপাশি রাস্তা দিয়ে যত্রতত্র বের হওয়া টোটোগুলিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করেন।
এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সদর মহকুমা শাসক তৃদ্বীপ সর বলেন করোনা মহামারীর রুখতে মানুষকে সচেতন হতে হবে। যে সমস্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে তবেই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব।
যে সমস্ত মানুষ এখনও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না তাদের ক্ষেত্রে কোচবিহার জেলা প্রশাসন মহামারী আইনে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। স্বভাবতই লকডাউনের প্রথম দিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় কোচবিহার জেলা প্রশাসন।
অভিযান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শহর কার্যত ফাঁকা হয়ে যায়। প্রথম দিনের লকডাউন সফল বলে দাবি করেন সদর মহকুমা শাসক।