আমফানের ঘোর কাটতে না কাটতেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬০৮৮

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন চলছে।
লকডাউনের অর্থ হল যে যেখানে রয়েছেন সেখানেই সাবধানতা অবলম্বন করে থাকা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যা করোনা মোকাবিলার নিয়মের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত। আম বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর একথা স্বীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।
রোজ দেশ জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তৈরি হচ্ছে মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড। একইসঙ্গে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে আক্রান্ত ও সুস্থতার সংখ্যাও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন ৬০৮৮ জন। এক দিনে এত সংখ্যক মানুষ এর আগে আক্রান্ত হননি বলে জানা যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে।
এই বৃদ্ধির জেরে দেশে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা হল ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৪৭।
তবে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাত ও দিল্লি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৮ জনের। এই নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৫৮৩ জন।
মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ১৪৫৪ জনের। গুজরাটে ৭৭৩ জন মারা গিয়েছেন । মধ্যপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ২৭০। পশ্চিমবঙ্গে ২৫৯।
শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে, ১৯৪, ১৫১ ও উত্তরপ্রদেশ ১৩৮।
পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৯৭। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ জন।
রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫৯ জনের। যদিও রাজ্য সরকারের হিসেবে করোনাভাইরাসের জেরে মৃতের সংখ্যা ১৮৭। বাকি ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে।
অন্যদিকে করোনা থাবা বসিয়েছে হানা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলেও। সূত্রের খবর, কোভিড-১৯ সংক্রমণের শিকার হয়েছেন এনডিআরএফ-এর এক সাব ইন্সপেক্টর।
এনডিআরএফ-এর হেডকোয়ার্টারে পোস্টিং ছিল তাঁর। আপাতত গ্রেটার নয়ডার সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স-এর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তিনি। এই প্রথম এনডিআরএফ-এর কোনও কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা। সেখানে উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ-এর বেশ কয়েকটি দল। সেখানে এন ডি আর এফ কর্মী আক্রান্তের খবর নতুন করে আশঙ্কা ছড়িয়েছে তা বলাই বাহুল্য।