নতুন পোশাকে ম্যাচিং মাস্ক- হালফ্যাশানের দৌড়ে পিছিয়ে নেই ছেলেরাও

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনাকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আপাতত বাঁচতে হবে। তা আগেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বারবার দেশবাসীকে সতর্ক করছেন যতদিন না আমরা করোনা প্রতিষেধক টিকা পাচ্ছি ততদিন মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখার জন্য।

সুতরাং আগামী কয়েকদিন মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারই আমাদের ভরসা। কিন্তু মাস্ক পরে বাইরে বেরতে অনীহা রয়েছে অনেকেরই। তাও আবার সামনে পুজো।

তাই একদিকে  তাঁদের কথা মাথায় রেখে ম্যাচিং মাস্ক আগেই বাজারে এসেছিল। পরনের পোশাকের সঙ্গে মানানসই রঙের মাস্ক অনেকেই ব্যবহারও করছেন। এবার আরও অভিনবত্ব এনে বাজার ধরছেন মাস্ক প্রস্তুতকারকরা।

হবে না হবে না করেও শেষমুহুর্তের পুজোর বাজার জমজমাট। যদিও গত বছরগুলোর থেকে কম, কিন্তু বিক্রিবাট্টা হচ্ছে। শাড়ি,জামাকাপড়ের সঙ্গে মাস্কের বিক্রিও চলেছে।

করোনা আবহে প্রথম মাস্ক বিক্রি শুরু করে ওষুধের দোকানগুলি। তারপরই ফুটপাথ। কিন্তু পুজোর সময়ে হালফ্যাশনের শাড়ি জামাকাপড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে ঘুরছে হালফ্যাশনের মাস্কও।

বুটিক থেকে শুরু করে ববি প্রিন্ট, সিল্ক থেকে শুরু করে কটন, হ্যান্ডলুম আবার কেউ কেউ চাইলে পেয়ে যাবেন বেনারসি ও জামদানির সঙ্গে পড়ার জন্য থ্রি লেয়ার মাস্ক।

কলকাতার নামি দামী দোকান তো বটেই সেইসঙ্গে ছোট দোকানগুলিও প্রতিটি শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং মাস্ক একেবারেই ক্রেতার সামনে তুলে ধরছেন। তবে শুধুমাত্র মেয়েরাই নয়, ছেলেরাও কিন্ত সামিল হয়েছেন ম্যাচিং মাস্ক দৌড়ে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/assam-to-close-down-all-state-run-madrasas/

দোকানিরা জানাচ্ছেন, আড়ত থেকে কাপড় আনার আগেই অর্ডার দিয়ে দেওয়া হয়েছে ম্যাচিং মাস্কের। এত পরিমানে অর্ডার আসছে যে দিয়ে শেষ করা যাচ্ছে না।

অনলাইন প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ার পর সারা বছরই চলে কেনাবেচা। তবে পুজোর কেনাকাটা সম্পূর্ণ বাঙালি আবেগের সঙ্গে জড়িত। এবছর করোনার সচেতন বার্তা পৌঁছাতেই হোক বা ব্যবসায়িক মুনাফা!

শাড়ি-ব্লাউজ ম্যাচিংয়ের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে মাস্কও।এমনকি সালোয়ার কামিজের থ্রিপিসের সাথে এবার যোগ হয়েছে আর এক পিস সেটা হলো মাস্ক। বিভিন্ন বড় কোম্পানির টি-শার্ট জামা ওই একই কাপড় দিয়ে মাস্ক দিচ্ছেন ফ্রিতে।

আবার যাদের পুজোর পরেই সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন তারাও কিন্ত বেনারসি, কাঞ্জিভরম, ঢাকাই জামদানি, ব্যোমকাই হোক কিংবা জরি-ভেলভেটের দামী লেহঙ্গা সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই ম্যাচিং করে মাস্ক কিনছেন।

শুধু কনের জন্যই নয়, বরের পাঞ্জাবি কিংবা শেরওয়ানির সঙ্গে থাকছে ম্যাচিং মাস্ক। এককথায় মাস্কের জন্য বিয়ের সাজ ‘মিস ম্যাচ’ হওয়ার আর কোনও প্রশ্নই উঠছে না।

ইতিমধ্যেই শহর ও শহরতলিতে সাড়া ফেলে দিয়েছে বস্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলির এই নতুন আইডিয়া।

সম্পর্কিত পোস্ট