Covid19: আগামীকাল থেকে শুরু আনলক ২ পর্ব, কলকাতায় মৃতের সংখ্যা ৩০০র বেশী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। এবার করোনা আক্রান্ত খোদ নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্ত।

বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্ত এবং তাঁর আরও এক সহকর্মীর শরীরে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন ধরেই বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল তাঁর শরীরে।

সোমবার রাতে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপরই এদিন সকালে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাইসেড সূত্রের খবর, আরও ৩০ জন কর্মীর করোনা পরীক্ষা করে দেখা হবে। তাঁদের শরীরেও সংক্রমণ হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হতেই এই সিদ্ধান্ত।

সবমিলিয়ে পূর্ব ভারতের অন্যতম শীর্ষ গবেষণা ও পরীক্ষাকেন্দ্রের অধিকর্তা করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। যদিও এ বিষয়ে স্বাস্থ্যভবন এখনও কিছু জানায়নি।

গরীব কল্যাণ যোজনার বিস্তার. নভেম্বর অবধি দেওয়া হবে ফ্রি রেশনঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

প্রসঙ্গত, এরাজ্যে নোভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব প্রথম ধরা পড়েছিল এই ল্যাবরেটরির পরীক্ষাতেই। পূর্ব ভারতের অন্যতম নামী গবেষণা কেন্দ্র এই নাইসেড। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং ল্যাবরেটরি প্রতিদিনই নিয়ম মেনে স্যানিটাইজ করা হয়। তারপরেও কীভাবে শীর্ষকর্তার সংক্রমণ হল তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

মালদাঃ

এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় মালদহে নতুন করে সংক্রমিত ৩৫। করানো আক্রান্ত মালদা জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষ। নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে পুলিশকর্মী, নার্সিং স্টাফ, স্বাস্থ্যকর্মী, চায়ের দোকানদার। জেলায় করোনা আক্রান্ত ছশোর বেশি। উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ মালদহে।

দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের চারটি ব্লকে ১২ জনের শরীরে মিলল করোনার উপস্থিতি ।

এর ফলে জেলায় করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ২১৫ জন। গতকালও ৩ জনের শরীরে মিলেছিল করোনার হদিস। নতুন আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে নতুন আক্রান্তদের ১২ জনের মধ্যে ৬ জন গঙ্গারামপুর ব্লকের, ৩ জন কুমারগঞ্জ ব্লকের,২ জন তপন ব্লকের ও একজন বালুরঘাট পৌরসভা এলাকার।

গঙ্গারামপুরে আক্রান্তদের মধ্যে একজন সরকারি কর্মী রয়েছেন বলে জানা গেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ১৪৮ জন করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

উল্লেখ্য, এদিনই শেষ হচ্ছে পঞ্চম দফার লকডাউন। আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে আনলক-২ পর্ব। তবে কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে লকডাউন।

পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কলকাতাতেই করোনার সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। জেলা থেকে কলকাতার হাসপাতালে রোগীরা এসে ভর্তি হওয়াতেই কলকাতার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতায় ইতিমধ্যেই ৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেনও বহু জন। সাড়ে ৩০০-র উপর মানুষ কলকাতায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট