CPIM 23rd party congress : কান্নুরে সব ছক মেনে চলছে, তবুও ইয়েচুরির আসন টলমল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কান্নুরে ( Kannur ) সিপিএমের ২৩ তম পার্টি কংগ্রেস ( CPIM 23rd party congress ) আজ চতুর্থ দিনে পা দিল। অর্থাৎ রবিবার পর্যন্ত পার্টি কংগ্রেস চলবে। শেষ দিনের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কারণ ওই দিনই ঠিক হবে আগামী তিন বছরের জন্য সিপিএমের মাথায় বসবেন কে। অর্থাৎ কে হবেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
পাশাপাশি পলিটব্যুরোর গঠন ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কারা হচ্ছেন সেই দিকেও তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল। কমিউনিস্ট পার্টির ধারা মেনে কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা জায়গা পাবেন তাঁদের গুরুত্ব কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
বিশেষ করে বাংলায় যেখানে পার্টির অবস্থা টালমাটাল সেখানে তরুণ প্রজন্মের মীনাক্ষী মুখার্জি, শতরূপ ঘোষ, ময়ূখ বিশ্বাসরা কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাচ্ছেন কিনা সেটাই এখন দেখার।
এই তিন দিনের সম্মেলনে সিপিএমের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রতিবেদন পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদের সামনে পেশ করা হয়েছে। তা নিয়ে আলোচনাও চলছে। এ রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্ব আলোচনার ক্ষেত্রে তুলনায় তরুণ মুখদের বেশি করে সামনে এগিয়ে দিচ্ছে।
SSC : এসএসসির ভাবমূর্তি ধূলোয় গড়াগড়ি, আস্থা নেই আমজনতার
প্রথমবারের জন্য রাজ্য কমিটির সদস্য হওয়া এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য পার্টি কংগ্রেসে বাংলার হয়ে বক্তব্য রাখেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল দলের সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেছেন প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই বিষয়টিই বুঝিয়ে দিচ্ছে সিতারাম ইয়েচুরি সাধারণ সম্পাদক হলেও পলিটব্যুরো তথা কেন্দ্রীয় কমিটিতে কারাতের আধিপত্য বেশি।
CPIM 23rd party congress
এখনও পর্যন্ত খবর সিতারাম ইয়েচুরিই তৃতীয়বারের জন্য সাধারণ সম্পাদক থেকে যাবেন। তবে তাঁর সময়ে দেশে ক্রমশ আধিপত্য কমেছে সিপিএমের। গত পার্টি কংগ্রেস থেকে এই পার্টি কংগ্রেসের মধ্যবর্তী সময়ে সারাদেশে সিপিএমের সদস্য সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪০ হাজার।
একমাত্র কেরলে দল ক্ষমতায় আছে। সেখানে কারাত লবির দাপট প্রশ্নাতীত। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) কারাত শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে ইয়েচুরিকে পিছনে ফেলে সাধারণ সম্পাদক হয়ে যেতেই পারেন কারাত ঘরনী বৃন্দা কারাত।
এদিকে ভোটে টানা খারাপ ফল করায় শাস্তিস্বরূপ বাংলা পার্টির ভাগ থেকে একটি পলিটব্যুরো কোটা কেটে নেওয়া হতে পারে। বদলে ভালো লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে পলিটব্যুরোয় আসতে পারেন মহারাষ্ট্রের কৃষক নেতা অশোক ধাওয়ালে।