মমতা সম্পর্কে কী লিখবেন অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা, CPIM জুড়ে উদ্বেগ প্রহর
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: দল থেকে জবাবদিহি যেমন চাওয়া হয়েছে অজন্তা বিশ্বাসের কাছে, তেমনই উদ্বেগের প্রহর পার করছে মুজফ্ফর আহমেদ ভবন। সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির মাথায় এখন প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তার লম্বা ছায়া। সেই ছায়া ঘিরে ধরছে নেতা থেকে সমর্থক সবাইকে।
কী লিখবেন সিপিআইএমের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা সদস্যা অজন্তা বিশ্বাস? তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁরই দলীয় মুখপত্রের দৈনিক সংস্করণে অজন্তার লেখার দিকেই নজর শাসক তৃণমূল, বিরোধী বিজেপি, পূর্বতন শাসক ও বর্তমানে বিধানসভায় শূন্য বাম ও কংগ্রেস।অর্থাৎ, অজন্তা বিশ্বাসের পিতৃপরিচয় তাঁকে বিতর্কের কেন্দ্রে এনে দিয়েছে।
সদ্য প্রকাশ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মু়খপত্রের দৈনিক সংস্করণ। এতেই ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ এই শিরোনামে অজন্তা বিশ্বাস লিখছেন। এর পরেই রাজনৈতিক মহলে পড়েছে শোরগোল। বিশেষ করে সিপিআইএমের মতো শৃঙ্খলাপরায়ণ দলে এ যেন কাঁটা গেলার সামিল।
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড.অজন্তা বিশ্বাস। তিনি সিপিআইএমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এখানেই উঠেছে প্রশ্ন, জেনেশুনে অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা কেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রেই লিখতে গেলেন! বিস্মিত সিপিআইএম সহ বাম নেতারা। মুচকি হাসছে তৃণমূল।
CPIM গিলেছে অজন্তা কাঁটা, TMC মুখপত্রের লেখিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ইঙ্গিত
ইতিমধ্যেই জল্পনা, অজন্তা বিশ্বাস তাঁর এই ধারাবাহিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্তুতি করতে চলেছেন। সেই পর্বটির দিকেই নজর বেশি পাঠকমহলের। সূত্রের খবর, এই বিষয়টি নিয়ে সিপিআইএমের কাছে তিনি জবাবদিহি করবেন। সম্ভবত তার পরেই সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী পদক্ষেপের। ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা প্রশংশা শোনা গিয়েছে অজন্তার মুখেই। এমনই দাবি করেছেন কয়েকজন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে পর্বটি প্রকাশের আগে নীরব অজন্তা বিশ্বাস।
আগের পর্বগুলিতে অজন্তা যতই স্বাধীনতার আগে থেকে স্বাধীন পরবর্তী সময়ে বঙ্গ রাজনীতিতে মহিলাদের কথা লিখুন না কেন, তার বিষয়বস্তুর চেয়ে মমতা পর্বটির দিকেই নজর বেশি।
অজন্তা বিশ্বাস তৃণমূল কংগ্রেসের দৈনিক মুখপত্রে লিখছেন এই বার্তা দলের জন্য মারাত্মক বলেই মনে করছে মুজফ্ফর আহমেদ ভবন। রাজ্যে সাড়ে তিন দশকের বাম শাসনে, ততকালীন বামফ্রন্ট সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক মুখ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ছেড়ে দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালে মমতার নেতৃত্বে টিএমসি বামফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে সরকার গড়ে। সম্প্রতি বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়ে টিএমসি টানা তিনবার সরকার গড়েছে।
কী করে একজন পার্টি সদস্য দলের অনুমতি না নিয়ে সরাসরি অন্য রাজনৈতিক দলের মুখপত্রে লিখছেন? এই প্রশ্ন রেখে সদুত্তর চাওয়া হবে অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাসের কাছে। এই বিতর্কে কোনও সিপিআইএম নেতা মুখ খুলছেন না।