CPIM গিলেছে অজন্তা কাঁটা, TMC মুখপত্রের লেখিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ইঙ্গিত
অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা CPIM পার্টি সদস্যা
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: দলের রাজ্য কমিটির দৈনিক মুখপত্র রয়েছে। তেমলই আছে বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সাময়িকী, রয়েছে কেন্দ্রীয় মুখপত্র। একাধিক রাজ্যে সিপিআইএমের দৈনিক সংবাদপত্র চলে। কোথাও না লিখে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের দৈনিক মুখপত্রে ধারাবাহিক লিখতে শুরু করায় প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাসকে নিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে বঙ্গ বাম।
কী করে একজন পার্টি সদস্য দলের অনুমতি না নিয়ে সরাসরি অন্য রাজনৈতিক দলের মুখপত্রে লিখছেন? এই প্রশ্ন রেখে সদুত্তর চাওয়া হবে অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাসের কাছে। এই বিতর্কে কোনও সিপিআইএম নেতা মুখ খুলছেন না।
সূত্রের খবর, অজন্তা বিশ্বাসের এমন আচরণে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হতে পারে। তবে তার আগে অজন্তা নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুন এটাই চাইছে সিপিআইএম।
অজন্তা বিশ্বাস হলেন সিপিআইএম নেতা প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের কন্যা। কৃতী ছাত্রী পরে অধ্যাপনায় চলে যান। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি সিপিআইএমের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা সদস্য। একইসঙ্গে দলেরও সদস্য।
গত ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেস তাদের মুখপত্রকে দৈনিক সংবাদপত্রে পরিনত করে। এই সংবাদপত্রের চমক, অজন্তা বিশ্বাসের লেখা একটি ধারাবাহিক।
‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ এই শিরোনামে ইতিহাস ভিত্তিক কিছু ঘটনা অজন্তা বিশ্বাস লিখছেন। এর পরেই রাজনৈতিক মহলে পড়েছে শোরগোল। বিশেষ করে সিপিআইএমের মতো শৃঙ্খলাপরায়ণ দলে এ যেন কাঁটা গেলার সামিল।
অজন্তা বিশ্বাস কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রে লিখছেন, এই প্রশ্নে বাম সমর্থকরা যেমন হতচকিত, তেমনই প্রশ্ন উঠেছে সিপিআইএম কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পরিস্থিতির ঘোরালো বুঝে অজন্তা বিশ্বাস নীরব। কৈফিয়ত চাওয়ার বিষয়টি নিয়েও কোনও নেতা প্রকাশ্যে জানাতে চাইছেন না। তবে ইঙ্গিতে অনেকে বলেছেন, অজন্তা ভেবেচিন্তে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রে লিখেছেন। তিনি জানেন, এর ফলে তাঁকে দলের কাছে কৈফিয়ত দিতে হবেই।
অজন্তা বিশ্বাস তৃণমূল কংগ্রেসের দৈনিক মুখপত্রে লিখছেন এই বার্তা দলের জন্য মারাত্মক বলেই মনে করছে মুজফ্ফর আহমেদ ভবন। রাজ্যে সাড়ে তিন দশকের বাম শাসনে, ততকালীন বামফ্রন্ট সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক মুখ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ছেড়ে দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালে মমতার নেতৃত্বে টিএমসি বামফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে সরকার গড়ে। সম্প্রতি বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়ে টিএমসি টানা তিনবার সরকার গড়েছে।