ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দ্বিতীয় বামেরা , শ্রেণি বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে উঠছে সিপিএম?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘদিন ব্যারাকপুরের সাংসদ ছিলেন তড়িৎ তোপদার। সেই সময় প্রচলিত কথাই ছিল, তাঁর দাপটে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়! ব্যারাকপুর সংসদীয় এলাকার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে আছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। বাঙালি ও অবাঙালি শ্রমিকরাই মূলত এখানকার ভোটার।

কিন্তু বামেদের সেই একচেটিয়া সাম্রাজ্যে প্রথম থাবা বসায় তৃণমূল। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আবার অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে ব্যারাকপুর দখল করে বিজেপি।ফলে বামেরা এই শিল্পাঞ্চলে তৃতীয় স্থানে চলে যায়। শ্রমিক শ্রেণীর দল হয়েও এই এলাকায় রক্তাল্পতায় ভুগতে শুরু করে সিপিএম!

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দ্বিতীয় বামেরা

একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যারাকপুরের প্রতিটি কেন্দ্রে হতশ্রী ফল করে বামেরা। কিন্তু মাত্র ১০ মাসের ব্যবধানে আয়োজিত পুরভোটে এই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিজেপিকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে রানার্স হল বামেরা।

Taherpur Municipality : মাটি কামড়ে পড়ে থাকলে ফল পাওয়া যায়, তাহেরপুরকে দেখিয়ে বলছে বামেরা

ব্যারাকপুর, কাঁচরাপাড়া, পানিহাটি, ভাটপাড়া, গারুলিয়া, নৈহাটি, উত্তর ব্যারাকপুর একের পর এক পুরসভায় একচেটিয়া দাপট দেখা গিয়েছে তৃণমূলের। এর মধ্যে গারুলিয়া বাদে বাকি সবগুলো পুরসভা বিরোধী শূন্য। যে অর্জুন সিংয়ের দাপটে তৃণমূলের প্রবল ঝড়ের মাঝেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভাটপাড়া ধরে রেখেছিল বিজেপি সেখানেই এবার তারা মুছে গিয়েছে।

এদিকে শ্রমিকনেত্রী গার্গী চ্যাটার্জীর মাটি কামড়ে পড়ে থাকার সুফল পেয়েছে সিপিএম। নৈহাটি, ব্যারাকপুর, কাঁচরাপাড়ার মতো পুরসভাগুলোর বেশিরভাগ ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে বামেরা। একইসঙ্গে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দ্বিতীয় বামেরা ।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দ্বিতীয় বামেরা , এই ফলের ভিত্তিতে বলাই যায় ধীর গতিতে হলেও ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বামেদের পুনরুত্থান ঘটছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, শ্রেণি বিচ্ছিন্ন সিপিএম কি তবে আবার শ্রমিকশ্রেণীর আস্থা ফিরে পাচ্ছে? এর নিশ্চিত উত্তর পেতে হলে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট