“সিপিএমের কাগজে চিটফান্ডের বিজ্ঞাপন থাকে”, নাম না করে গণশক্তিকে বিঁধলেন মমতা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মহালয়ার দিন তৃণমূলের দলীয় মুখপাত্র জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যার প্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেখানে দলের নেতাদের সামনেই নাম না করে সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “জাগো বাংলা সরকারি অ্যাড নেয় না। কিন্তু সিপিএমের একটা কাগজ আছে, সেখানে চিটফান্ডের অ্যাড থাকে!”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন গণশক্তিকে নিশানা করে কার্যত সিপিএম দলে চিটফান্ডের টাকা ঢুকেছে বলে অভিযোগ করতে চেয়েছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য সুদীপ্ত সেনের সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির পর রাজ্যের প্রায় শ’খানেক চিটফান্ডের ঘট উল্টে যায়। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে চিটফান্ডের সুবিধাভোগী তৃণমূল কংগ্রেস দল। তাদের নেতারাই চিটফান্ডগুলি চালাতেন।

বলেছিলেন ‘তৃণমূলের সবাই চোর’, সেই সুকান্তকে পাশে নিয়ে মিঠুন বাণী ‘ওদের সবাই চোর নয়’

এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির জেরেই সিবিআই মদন মিত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পালের মতো তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কদের গ্রেফতার করে। মাঝারিস্তরের আরও বহু নেতা দীর্ঘদিন হাজত বাস করেছেন।

এবার সেই বিতর্কে রাজ্যের প্রাক্তন শাসক দলকে তৃণমূল নেত্রী জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা। পাশাপাশি তাঁর দল সরকারে থাকলেও তৃণমূল সেই সুবিধা নেয় না বলে মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

ঘটনা হল, সুজন চক্রবর্তী, বিমান বসুর মতো কয়েকজন সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে কয়েকটি চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠলেও সিপিএমকে দল হিসেবে সার্বিকভাবে অভিযোগের বোঝা সহ্য করতে হয়নি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের মন্তব্যের পর জল অন্যদিকে গড়াতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।

সম্পর্কিত পোস্ট