শক্তি বাড়িয়ে উপকুলে আছড়ে পড়তে চলেছে তৌকত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ঘুর্ণিঝড় তৌকত। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে আর কিছুক্ষণের মধ্যে গুজরাট উপকুলে আছড়ে পড়তে পারে ঘুর্ণিঝড়৷ রাত ৮ টা থেকে ১১ টার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘুর্ণিঝড়৷ গুজরাট উপকুলের এর গতিবেগ ১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা এবং মহারাষ্ট্র উপকুলে এর গতিবেগ ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ২৫ হাজার মানুষকে পোরবন্দর এবং ভাবনগরের নীচু এলাকা সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। নীচু এলাকা থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ জুনাগড়, গির সোমনাথ এবং আমরেলিতে ঝড়ের গতিবেগ ১৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা থাকতে পারে বলে অনুমান।
ঘুর্ণিঝড়ের ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পোরবন্দর, আমরেলি, জুনাগড়, গির সোমনাথ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আমেদাবাদের উপকুলবর্তী এলাকা।
ঝড়ের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হতে পারে৷ বিচ্ছিন্ন হতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগ।
সোমবার সকাল থেকে মুম্বইয়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। দুপুর ২ টো অবধি বন্ধ বিমান পরিষেবা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ব্যান্ডরা-ওরলি সি লিঙ্ক৷ থানে, রায়গড়, পালঘর এবং রত্নগিরিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত৷ যে কোনও রকমের বিপত্তি এড়াতে মোতায়েন এনডিআরএফ বাহিনী।
এনডিআরএফ চিফ এসএন প্রধান জানিয়েছেন, প্রায় ১০০ টি এনডিআরএফের দল বিপর্যয় মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে। সাত হাজার মাছ ধরার নৌকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সকাল থেকে।
গুজরাতের জামনগরের অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক করোনা রোগীর জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। কোনও মতেই তা যাতে না বন্ধ হয় সে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি করোনা সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। হাসপাতালগুলিতে সমস্ত পরিষেবা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দুর্যোগ মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে বায়ু সেনা৷ মোতায়েন করা হয়েছে সি-১৩০ জে এবং এএন-৩২৷
কোভিড পরিস্থিতিতে সমস্ত পরিষেবা চালু রাখার আশ্বাস দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধভ ঠাকরে। তিনি নিজে গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন বলে জানিয়েছেন।