একটানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে দামোদর, আশঙ্কায় দিন গুনছে বাগনান, আমতা এবং উদয়নারায়নপুরের মানুষ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একটানা নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত। তার জেরে ফুঁসছে দামোদর। আশঙ্কায় দিন গুনতে হচ্ছে বাগনান, আমতা এবং উদয়নারায়নপুরের মানুষকে।
একটানা বৃষ্টির পর ডিভিসির ছাড়া জলে প্রত্যেকবছর বানভাসি হন এই এলাকার মানুষ। এবছরেও প্রায় ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার কারণে নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। যদিও ডিভিসির তরফে জানানো হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়লে তবেই বন্যার সম্ভাবনা থাকে।
জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলায় চালু হচ্ছে ফোর জি পরিষেবা
ইতিমধ্যেই ডিহিভুরশুট সংলগ্নক নিম্ন এলাকাগুলিতে বন্যা প্রতিরোধের জন্য বালির বস্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এমনটাই কর্মরত কর্তাদের তরফে জানানো হয়েছে। নদীতে জলস্তর বাড়তে শুরু করলে বালির বস্তা দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করা হবে।
যদিও প্রাথমিকভাবে নিম্ন দামোদর এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। নিম্ন দামোদর এলাকাগুলি খতিয়ে দেখেন উদয়নারায়নপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা।
তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে দ্য কোয়ারি। তিনি বলেন, এখনও অবধি ভয়ের কোনও কারণ নেই। তবে অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে ডিভিসির ছাড়া জলে প্রত্যেকবছর বন্যা দেখা দেয়। অন্যান্য বার মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে একবারে জল ছাড়ার কারণে দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় বন্যা দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়ে দামোদরের নিম্ন অববাহিকায়। মুলত পুরশুড়া, উদয়নারায়নপুর, আমতা-১ এবং আমতা-২ তে। এবছর যেভাবে প্রতি ক্ষেপে ধীরে ধীরে জল ছাড়া হচ্ছে সেভাবে জল ছাড়লে ভয়ের কোনও কারণ নেই। তবে জল বাঁধের জল ধরে রেখে যদি একবারে জল ছাড়া হয় তাহলে বিপদ রয়েছে।