Darjeeling Municipality : আবহাওয়ার মতোই পুরভোটের আগে ক্ষণে ক্ষণে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটছে দার্জিলিংয়ে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের যে ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচন হবে তার মধ্যে আছে দার্জিলিং( Darjeeling Municipality )। আর ভোট ঘোষণা হতেই সেখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ বিচিত্র আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি এমনই যে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বুঝে উঠতে পারছেন না কে কার ভোট কাটবে! তবে তাঁরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত ভোট কাটাকাটিতেই নির্ধারিত হবে পাহাড়ের এই পুরসভার আগামী পাঁচ বছরের ভবিষ্যৎ।
দার্জিলিং পুরসভাকে ( Darjeeling Municipality ) নিয়ে এই বিচিত্র রাজনৈতিক সমীকরণের কারণ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিভাজন। বিমল গুরুং ফেরার হতেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় গুরুং শিবির বিজেপিকে সমর্থন করত।
Darjeeling Municipality
অপরদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় তামাংয়ের নেতৃত্বাধীন শিবির তৃণমূলের সমর্থক ছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের মাসখানেক আগে হঠাৎই প্রকাশ্যে এসে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করে তারা। বিধানসভা ভোটে গুরুং এবং বিনয় তামাং শিবির একযোগে দার্জিলিং পাহাড়ের তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থন করেছেন।
যদিও বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিনয় তামাং শিবিরে ফাটল ধরে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে শাসকদল তৃণমূলে সরাসরি যোগ দেন বিনয় তামাং। অপরদিকে নতুন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা তৈরি করেন অনীত থাপা। যদিও এই নতুন দলটিও তৃণমুলকেই সমর্থন করছে।
এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সর্মথকরা এই মুহূর্তে তিনটি শিবিরে বিভক্ত। একদল যেমন বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, বাকিরা তেমনই বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মধ্যে ভাগ হয়ে গিয়েছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছিল তারা সহযোগী দলগুলিকে নিয়ে জোট বেঁধে পাহাড়ের নির্বাচনে ( Darjeeling Municipality ) লড়াই করবে। কিন্তু অনীত থাপা কিছুদিন আগেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি তৃণমূলকে সমর্থন করলেও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে হাত মেলাবেন না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শাসক শিবিরের তিনটি পক্ষই প্রার্থী দিতে পারে দার্জিলিংয়ে। সেক্ষেত্রে শাসক শিবিরের সমর্থকদের ভোট ( Darjeeling Municipality ) তিন ভাগে ভাগ হয়ে যেতে পারে।
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সঠিক ভাবে মানা হচ্ছে তো? নজর রাখবেন মুথ্যসচিব
শুধু তাই নয় বিরোধী শিবিরেও প্রায় একইরকম সমস্যা আছে। বিজেপির সঙ্গে জিএনএলএফের জোট থাকলেও পুরভোটে তারা একসঙ্গে প্রার্থী দেবে কিনা সেটা নিশ্চিত নয়। বরং জিএনএলএফের মধ্যে চাপ আছে সিপিআরএম, গোর্খা লিগের মতো দলগুলিকে নিয়ে পৃথকভাবে প্রার্থী দেওয়ার।
এদিকে বিজেপির মনোভাব হল তাদের শর্ত মেনে জিএনএলএফের জোট করলে ভালো, না হলে তারা একাই প্রার্থী দেবে। শাসক এবং বিরোধী দুই শিবিরের এই বিভাজন দার্জিলিংয়ের পুরভোটকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।