Gorkhaland issue : ফের পাহাড়ে চাঞ্চল্য,পৃথক রাজ্যের জন্য জিটিএ নির্বাচন না হওয়ার দাবি গোর্খাদের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর দার্জিলিং সফরের আগে কালিম্পং কে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জিটিএ র থেকে আলাদা করার আর্জি জানিয়ে তাঁকে চিঠি দিলেন সেখানকার বিধায়ক।

 

Russia Ukraine War : রাশিয়ার উত্তরে পাল্টা জবাব,মৃত সৈন্যের আসল সংখ্যা জানাল ইউক্রেন

 

কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন লেপচা মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কালিম্পংকে জিটিএ থেকে আলাদা করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে কালিম্পংয়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা এবং জেলা পরিষদ গঠনের কথাও বলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, রবিবারই ৬ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে রুদেন লেপচার এই চিঠি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

 

বিধায়ক দাবি করেছেন, অনেক আগেই কালিম্পংকে পৃথক জেলা করা হলেও পৃথক জেলা হওয়ার পূর্ণ সুবিধা পাচ্ছে না কালিম্পং। কারণ তারা এখনও গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ-র অন্তর্গত।

 

কালিম্পং যখন মহকুমা থেকে জেলা হয়েছে, একে যখন স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে তখন বাংলার আর পাঁচটা জেলার মতোই সুযোগ সুবিধা দেওয়া উচিত কালিম্পংকেও। সংবিধান অনুযায়ী এটাই কালিম্পংবাসীর প্রাপ্য। জিটিএ-র অধীনে থাকতে তাঁরা রাজি নন বলে জানিয়েছেন রুদেন লেপচা। তাঁর দাবিকে কালিম্পংয়ের সাধারণ মানুষও সমর্থন করেছেন বলে দাবি।

 

বিধায়ক রুদেন লেপচা জিটিএ থেকে কালিম্পংকে আলাদা করার আর্জি জানানো ছাড়াও তিনি একইসঙ্গে কালিম্পংয়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার আওতায় আনার আর্জিও রেখেছেন।এছাড়া কালিম্পংয়ের উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদ গঠনের দাবিও জানিয়েছেন।

 

বিধায়ক রুদেন লেপচার দাবি, একটা পূর্ণ জেলা হতে গেলে যা যা লাগে, সেই সমস্ত সুবিধা দিতে হবে কালিম্পংকে। মোর্চার এমন দাবিতে ফের একবার পাহাড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অনেকের বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতাকে ভালভাবে নেয়নি পাহাড়বাসী।

 

এদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কালিম্পং জেলার মুখপাত্র উমা পৌদয়াল বলেন, ‘‘ মুখ্যমন্ত্রী যে পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটাই আগে পূরণ করুক । আমরা জিটিএ নির্বাচন চাই না ।  জিটিএ বাতিল করে পৃথক রাজ্য অথবা স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল করা হোক ।’’

 

রবিবার বাগডোগরা হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি রুদেন লেপচার দাবি শুনবেন। সূত্রের খবর,সোমবার তিনি পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক বৈঠকে যোগ দেবেন। ২৯ মার্চ  দার্জিলিং চৌরাস্তা মোড়ের একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ৩০ মার্চ তিনি  একটি বৈঠক করবেন  জিটিএ নিয়ে। ৩১ মার্চ  শিলিগুড়িতে ফিরে তার পরের দিন অর্থাৎ ১ই এপ্রিল কলকাতায় ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

এইসময় পাহাড়বাসী মোর্চা মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এবং যাতে নিজেদের রাজনৈতিক ভীত আরও শক্ত হয় সেজন্যও।

 

সম্পর্কিত পোস্ট