দার্জিলিং চায়ে ভেজাল ! মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ব্যবসায়ী সংগঠন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভেজাল ব্যবহারের রমরমা থেকে দার্জিলিং এর ঐতিহ্যশালী চা শিল্পকে রক্ষা করতে সেখানকার ব্যবসায়ী সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে। দার্জিলিং চায়ের মান এবং আন্তর্জাতিক সুনাম ধরে রাখতে আশু পদক্ষেপ করার জন্য তাঁরা চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশন (ডিটিএ)র চেয়ারম্যান বি কে সারিয়া মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে জানিয়েছেন একাংশের ব্যবসায়ী অপেক্ষাকৃত নিকৃষ্ট মান ও সস্তা দামের নেপালের চা যথেচ্ছ আমদানি করে তা দার্জিলিং চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে ভেজালে পরিণত করছে। দামে সস্তা হলেও গন্ধ ও স্বাদে ফারাক ধরা পড়ার ফলে বাজারে দার্জিলিং চা-এর কদর কমতে শুরু করেছে।

দার্জিলিং চায়ের উৎপাদন ২০২০ সালে ৯.৫ মিলিয়ন কেজি থেকে ৬ মিলিয়ন কেজি যখন বাগানের কর্মচারীদের বেতন-মজুরি প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গে বাড়তি সংকট কোভিড অতিমারী যা দেশীয় এবং রপ্তানি বাজার উভয়কেই প্রভাবিত করেছে বলে তিনি জানান।

দার্জিলিং চা ভারতের প্রথম জিআই ট্যাগযুক্ত পণ্য, যার ফলে ওই পণ্যে কোনও রকম কারচুপি আইনত দণ্ডনীয় সেকথা উল্লেখ করে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।

মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রথম বৈঠকে বসতে চলেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ড

ডি টি এ র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,২০১৭-১৮ থেকে শুরু করে পরবর্তী তিনটি আর্থিক বছরে নেপাল থেকে চা আমদানি হয়েছে ৬০.৩৫ মিলিয়ন কেজি। কিন্তু তার মধ্যে ২৩.৪৩ মিলিয়ন কেজি চা ফের রপ্তানি করা হয়েছে। অর্থাৎ, বাকি ৩৬. ৯২ মিলিয়ন কেজি এদেশেই বিক্রি তথা ব্যবহৃত হয়েছে। অন্যদিকে, দার্জিলিং চা-এর বিক্রি ক্রমশ করছে।

আমদানি, বিপণন, প্যাকেজিং এবং লেবেলিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধি কিন্তু নেপালের চা-এর ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না উপযুক্ত নজরদারির অভাবে। এর দরুণ সেই চা-এর গুণগত মান প্রায় অপরীক্ষিত থেকে যাচ্ছে।

এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিম্নমান ও সস্তা দামের নেপাল চা ভেজালের জন্য ব্যবহার করছে বাড়তি মুনাফার লক্ষ্যে। তারা ভেজালের কারবারে লিপ্ত হয়ে দার্জিলিং চা-এর সুনাম নষ্ট করছে।

সম্পর্কিত পোস্ট