করোনা রিপোর্ট বিভ্রাট ! সৎকারের পর জানা গেল তিনি ‘কোভিড পজিটিভ’
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে কোভিড রিপোর্ট বিভ্রাটের ঘটনা নতুন নয়। আকছার এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। আর তাতে বিপাকে পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। এবার এই একই ধরণের ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানে।
৭০ বছরের বেনুরাণী তাহ মারা গিয়েছেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে। কিন্ত নার্সিংহোম সেই রিপোর্ট লুকিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে দেহ। ৫০-৬০ জনের উপস্থিতিতে সেই দেহ সৎকার করে পরিবার। বর্ধমানের একটি বেসরকারী নার্সিংহোমেপর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হলেন এক ব্যাক্তি। যিনি পেশায় সাংবাদিক। কর্মসূত্রে মুম্বাইতে থাকেন।
সাংবাদিক বিদ্যুৎ বাবুর কথায়, ২৫ অক্টোবর প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে মা কে বর্ধমানের খোসবাগান এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী নার্সিংহোমে ভরতির পরে তাঁর কোভিড টেস্ট করানো হয়। পজিটিভ আসে সেই রিপোর্ট। তবে নার্সিংহোম তা পরিবারকে জানায়নি।
এরপর ওই বৃদ্ধা মারা যান ৩১ অক্টোবর। দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। বিদ্যুৎবাবু আরও জানান “সৎকারের পর নিউ বম্বে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ও মুম্বাই পুলিশের তরফে বারংবার ফোন করে জানতে চাওয়া হয় বেনুরানী তাহ কে? আমি জানাই উনি আমার মা। তখন ওখান থেকে জানতে পারি আমার মা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। আমার প্রশ্ন এখানেই কেন রিপোর্ট যাচাই না করে দেহ ছেড়ে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? যারা সৎকারে উপস্থিত ছিলেন, তারা কেউ আক্রান্ত হলে দায় কার?”
তিনি আরও বলেন, “এরপর রিপোর্ট নার্সিংহোমের থেকে চাইলে তা দিতে তারা অস্বীকার করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই রিপোর্ট দিতে বাধ্য হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।”
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি৷ এদিকে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলেই আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা জেলা জুড়ে। বিদ্যুৎ বাবু বিষয়টি নিয়ে পূর্ব বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে দাঁড়ালো রাজ্যের স্বাস্থ্য কাঠামো।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shuvendu-adhikari-do-not-join-bjp/