কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে ৭ তারিখ থেকে খুলছে দিল্লি মেট্রোর দরজা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দেশ জুড়ে মেট্রো পরিষেবা চালু হচ্ছে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে। ইতিমধ্যেই আনলক ফোরের গাইডলাইন প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে করোনাউত্তর পরিস্থিতিতে মেট্রো চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেরধ আরোপ করেছে কেজরিওয়াল সরকার।
দেশের অন্যান্য মেট্রো শহরগুলির মধ্যে দিল্লি মেট্রো সবথেকে বড় ও দ্বিতীয় ব্যাস্ততম স্টেশন। গড়ে প্রায় ৪০০ ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি চার লাখের উপর যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করে। তাই যাত্রী সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েই সমস্ত পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন দিল্লির পরিবহন মন্ত্রী কৈলাস গেহেলট।
কী কী বিধিনিষেধ থাকছেঃ
কামরায় বাতানুকুল ব্যবস্থা থাকবে না। মাস্ক, থার্মাল স্ক্রিনিং, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ডেই যাতায়াত করা যাবে। বন্ধ রাখা হচ্ছে টোকেন দেওয়া।
মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। স্টেশনে ঢোকার আগে প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং করবেন মেট্রোর কর্মীরা। রাখা হবে স্যানিটাইজারও। মেট্রোর প্রতিটি কামরায় যাত্রী সংখ্যাও নির্দিষ্ট থাকবে। তবে সেই সংখ্যা কত হবে, তা এখনও জানায়নি দিল্লি প্রশাসন। প্রথম ধাপে সবকটি স্টেশনও চালু হচ্ছে না।
পরিবহন মন্ত্রীর কথায়, ‘‘কন্টেনমেন্ট জোনের স্টেশনগুলি খোলা হবে না। সেগুলি ছাড়াও আরও কিছু স্টেশন বন্ধ রাখা হবে। সেই বন্ধ থাকা স্টেশনের তালিকা তৈরি করে জনসাধারণকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
তবে বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে এত বিধিনিষেধ মেনে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে তা নিয়ে চিন্তার মেঘ কিছুতেই কাটছে না মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের।
প্রায় সাড়ে চার মাস পর চালু হচ্ছে দিল্লি মেট্রো। যদিও পিছু ছাড়ছে না করোনা সংক্রমনের দুশ্চিন্তা। পরিবহণমন্ত্রী কৈলাস গেহেলট বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল বারবার কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছেন অর্থনীতির হাল ফেরাতে সাধারণ মানুষকে অফিস-কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য। আর সেই ক্ষেত্রে দিল্লি মেট্রোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।