প্রজাতন্ত্র দিবসের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দীপ সিধুকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২৬ জানুয়ারি দিল্লি লালকেল্লায় হিংসার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দীপ সিধুকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। এদিন তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ বিভাগ।
প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে ফেরার ছিলেন দীপ সিধু।
দিল্লি পুলিশের তরফে তাঁর অবস্থান জানানর জন্য ১ লক্ষ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেন দিল্লি পুলিশ। পাঞ্জাবের অভিনেতা এবং সমাজকর্মী কৃষকদের সমর্থনে আন্দোলনে অংশ নিলেও তাঁকে ‘বিজেপির চর’ বলে মনে করেন কৃষক নেতারা।
তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দুই মাস ধরে চলা দিল্লির উপকন্ঠে আন্দোলনকে বৃহত্তর করতে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে ট্র্যাক্টর মিছিল ঘোষণা করেন আন্দোলনরত কৃষকরা। কৃষকদের সেই মিছিলের একটি অংশ দিল্লির ভিতর প্রবেশ করায় অশান্তি ছড়ায়।
ঘটনায় একজন কৃষকের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩০০ জন পুলিশ। লালকেল্লার ভিতরে প্রবেশ করে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এমনকি পতাকা ওড়ানোর অভিযোগ ওঠে দীপ সিধুর নামে।
ঘটনার পর থেকে কৃষকদের আন্দোলন ঘিরে চলে একাধিক মন্তব্য।
কিন্তু দীপ সিধুকে আন্দোলনের সমর্থনকারী হিসাবে মানতে চাননি কৃষকরা। বরং বিজেপির চর বলে দাবী করেন কৃষকরা।
ঘটনার পর থেকে সিধুর একের পর এক পোস্ট এবং ছবি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে শুরু করে। ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যায় একাধিক বিজেপির নেতাঁদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল দীপ সিধুর। এমনকি অভিনেতা সানি দেওলের জন্য গুরুদাসপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করেন তিনি।
ভোটের আগে ক্লাবগুলিকে অনুদানের ঘোষণায় কেন এত সমালোচনা? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
প্রজাতন্ত্র দিবসের পরের দিনেই একটি ভিডিও প্রকাশ করে দীপ সিধু বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে লালকেল্লায় নিশানা সাহিবের পতাকা লাগানো হয়েছে। সেখান থেকে জাতীয় পতাকা সরানো হয়নি। পাল্টা কৃষক নেতাদের তরফে দাবী করা হয়, কীভাবে মাইক হাতে দীপ সিধু লালকেল্লায় উপস্থিত হলেন তার তদন্ত করা দরকার।
অবশেষে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।