দিল্লির হিংসামূলক ঘটনা ষড়যন্ত্র, চার্জশিটে নাম উল্লেখ ইয়েচুরি-যোগেন্দ্র-জয়তী-রাহুল-অপুর্বানন্দের
দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চলতি বছরের উত্তর-পুর্ব দিল্লির হিংসামূলক ঘটনার চার্জশিটে উঠে এল সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সিতারাম ইয়েচুরি, স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদব, অর্থনীতিবিদ জয়তী ঘোষ, পরিচালক রাহুল রায় এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অপুর্বানন্দের নাম।
চলতি বছরে ঘটে যাওয়া দিল্লির হিংসা একটি পুর্বপরিকল্পিত ঘটনা। শুরু থেকেই এই দাবী করে আসছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে করকরডুমা আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, জাফরাবাদে সিএএ বিরোধী আন্দোলন এবং হিংসার ঘটনার পিছনে পিঞ্জরা তোড়ের সদস্যা দেবাঙ্গনা কালিটা, নাতাশা নারওয়াল এবং জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রী গুলফিশা ফাতিমার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিন জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ লাগু করেছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লি পুলিশকে দেওয়া বয়ানে তিন ছাত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, সিএএ বিরোধী আন্দোলনের জন্য উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন অধ্যাপিকা জয়তী ঘোষ, অপুর্বানন্দ এবং পরিচালক রাহুল রায়রা।
পুলিশের দাবী, এই তিনজনের কথাতেই দিল্লির দরিয়াগঞ্জ এবং জাফরাবাদের রাস্তায় প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। এমনটাই পুলিশকে দেওয়া বয়ানে জানিয়েছে দেবাঙ্গনা এবং নাতাশা। সিএএ মুসলিম বিরোধী আন্দোলনে পরিণত করে সেখানে ভিড় জমানোর চেষ্টা করছিলেন ইয়েচুরি, যোগেন্দ্র যাদবের মতো বড়ো মাপের নেতারা৷
জবানবন্দির বেশ কিছু পৃষ্ঠায় সই করতে রাজি হয়নি দেবাঙ্গনা এবং নাতাশা। আইনজীবিদের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশকে দেওয়া বয়ানের কোনও মূল্য নেই আদালতে।
গতকাল এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশজুড়ে শোরগোল তৈরি হয়েছে। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর মন্তব্যের পরেই হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই কপিল মিশ্রর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে শিক্ষাবীদ এবং সমাজকর্মীদের গ্রেফতার করতে চাইছে তারা।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-hanging-body-of-a-bjp-worker-was-recovered-in-goghat/
যদিও পুলিশের দাবী, নিয়ম মেনে ছাত্রীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে এবং তা আদালতে পেশ করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম থাকা মানেই সেই ব্যক্তি অভিযুক্ত নন।
সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মন্তব্য, যে কোনও রকম অবৈধ কাজকর্ম থেকে বিজেপির চরিত্র স্পষ্ট।
স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেন, সরকারীভাবে কাউকেই ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়নি। তবে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে ষড়যন্ত্রকারীদের বৃত্তে আনার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার ঘটনায় ৫৩ জন প্রাণ হারান। গ্রেফতার করা হয় একাধিক জনকে। এর মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা লাগুকরা হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দিল্লি।