ত্রিপুরা পর্ব ১ – রাজন্য ত্রিপুরা থেকে গণতন্ত্র
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ উত্তর পূর্ব ভারতের তিনদিকে বাংলাদেশ ঘেরা ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা। এই রাজ্যের রাজনৈতিক ঘনঘটা প্রবল। বাংলা ও উপজাতি ককবরক ভাষা প্রধান এই রাজ্যটির প্রামান্য ইতিহাস গ্রন্থ রাজমালা। প্রসিদ্ধ এই ইতিহাস বই অনুসারে ত্রিপুরার মাণিক্য রাজবংশ প্রায় ২৫০০ বছর ধরে ১৮৬ জন রাজা শাসন করেছেন। ব্রিটিশ শাসনের সময় ত্রিপুরা ছিল একটি স্বাধীন করদ রাজ্য।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে ত্রিপুরার গভীর সম্পর্ক। ত্রিপুরার মানিক্য রাজ পরিবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কবি হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। যা কবির জীবনে প্রথম কোনও শিরোপা। রাজা বীরচন্দ্র মাণিক্য, তাঁর পুত্র রাধাকিশোর মাণিক্য এবং তাঁর পুত্র বীরবিক্রম কিশোর দেববর্মণের কবির সুসম্পর্ক ছিল। ত্রিপুরার পটভূমিতেই রবীন্দ্রনাথের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা রাজর্ষি।
১৯৪৭ সালে ভারতে ব্রিটিশ শাসন শেষ হয়। তবে ত্রিপুরা থেকে যায় রাজন্য এলাকা হিসেবে। ১৯৪৯ সালে গণমুক্তি আন্দোলনের পরে ত্রিপুরা অসম রাজ্যের অংশ হিসেবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। ত্রিপুরার মহারানি কাঞ্চনপ্রভা দেবী ১৯৪৯ সালে ত্রিপুরার ভারত অন্তর্ভুক্তিকরণ দলিলে সাক্ষর করেন। ১৯৬৩ সালে ত্রিপুরা একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত হয়। ১৯৭২ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
রাজন্য ত্রিপুরা থেকে গণতান্ত্রিক দেশের অঙ্গরাজ্য হওয়ার পরে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মোড়গুলি ছিল তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ, জাতিগত সংঘাত, গণহত্যায় ভরা।