পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে জুকারবার্গকে চিঠি ডেরেকের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ফেসবুককে ঘিরে ক্রমশ সরগরম হয়ে উঠছে জাতীয় রাজনীতি। কংগ্রেস, বিজেপির পর এবার মার্ক জুকারবার্গকে চিঠি দিল তৃণমূল। বিজেপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগে কংগ্রেসের পর এবার সরব হল মমতার দলও। এই অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করে ফেসবুক সিইও-কে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
ভারতে বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরাসরি বিজেপির সঙ্গে অশুভ আঁতাত করে বিরোধীদের প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি নেতাদের পক্ষে প্রচার চালিয়েছে।
গতবছর পার্লামেন্টে তৃণমূলের এই অভিযোগের পরেই সম্প্রতি রীতিমতো তথ্য-প্রমাণসহ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
কিন্তু তার পর থেকেই রীতিমতো প্রতিহিংশা প্রবণ হয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তৃণমূল নেতাদের প্রোফাইল এবং পেজ ডিলিট করে দিয়ে বিজেপিকে রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিতে চেষ্টা করে চলেছে বলে অভিযোগ ।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে দলের সমর্থকদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ফেসবুককে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/trinamool-is-on-its-way-against-central-deprivation/
এই চিঠিতে ডেরেক অভিযোগ করেছেন, ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পূর্ব নির্ধারিত প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের আগে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের অভিযোগে হোয়্যাটসঅ্যাপ ও ফেসবুক থেকে তৃণমূল নেতা ও সমর্থকদের শয়ে শয়ে ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট মুছে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
চিঠিতে জুকারবার্গের সঙ্গে তাঁদের আগের সাক্ষাতে যে আলোচনা হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ টেনেছেন ডেরেক। সূত্রের খবর, দিল্লিতে ২০১৫ সালের অক্টোবরে জুকারবার্গের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ডেরেক।
চিঠি প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে ডেরেক বলেছেন, ‘আমরা, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, ভারতে ২০১৪ ও ২০-১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি’।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে, দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারতে নিজেরে ব্যবসা যাতে ধাক্কা না খায়, সেজন্য শাসকদলের নেতাদের করা বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিতে কর্মীদের বারণ করেছেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার পদাধিকারী আঁখি দাস।
এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোচ্চার হয় কংগ্রেস। বিজেপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে ফেসবুককে দু’বার চিঠি পাঠিয়েছে কংগ্রেস। এই বিতর্ক কার্যত জল-হাওয়া পায় আরও একটি তথ্য।
জানা যায়, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে সমালোচনাকারী ৪৪টি পেজের নাম প্রকাশ করে বিজেপি। যার মধ্যে ১৪টি পেজ সরিয়ে নেওয়া হয়। বিজেপির প্রচারে সহায়ক ১৭টি পেজ ফিরে আসে ফেসবুকে।
এ অভিযোগের পরই ফেসবুককে পাল্টা আক্রমণ করে জুকারবার্গকে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। দক্ষিণপন্থী মনোভাবের মানুষদের পেজ সরানো হয়েছে এবং তাঁদের রিচ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন রবিশংকর।