মমতার পথে হেঁটে অভিষেককে চা পানের নিমন্ত্রণ! নিজের রাজনৈতিক ওজনের খেয়াল আছে তো দিব্যেন্দুর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতাকে বিধানসভায় নিজের ঘরে চা-পানের আমন্ত্রণ জানান। এটা শুক্রবারে ঘটনা। কিছুটা সেই পথে হেঁটেই তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী শনিবার সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁদের শান্তিকুঞ্জে চা-পানের আমন্ত্রণ জানান।
দিব্যেন্দুর এই ডাকে এমনিতে কোনও অসুবিধা ছিল না, কারণ লোকসভায় তিনি তো তৃণমূলের প্রতীকেই জয়ী হয়েছেন। কিন্তু গোল বেঁধেছে তাঁর পারিবারিক পরিচয় নিয়ে। দিব্যেন্দুর দাদা হলেন শুভেন্দু অধিকারী।শান্তিকুঞ্জ কাঁথির বিখ্যাত অধিকারী পরিবারের পৈতৃক বাড়ি। তার কাছেই সম্প্রতি সভা করার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সেখানে তিনি এলে বাড়িতে চা খেতে আসার জন্য আবেদন জানাবেন বলে জানান দিব্যেন্দু অধিকারী। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে দলের সঙ্গে প্রায় কোনও সম্পর্ক না রাখা এই সাংসদের এহেন মন্তব্য ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন ভোল বদলে দিব্যেন্দু অভিষেককে অধিকারী পরিবারে আমন্ত্রণ জানালেন।
“দিলীপ কেন গ্রেফতার নয়?” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আদৌ এই প্রশ্ন করতে পারেন অভিষেক
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেছে মুখ্যমন্ত্রীর উদারতার নজির। তাঁর পথে হেঁটেই একই নজির তৈরি করার চেষ্টা করেছেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু। তাঁর এই পদক্ষেপ বা মন্তব্য যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজটি করলে তা সৌজন্যের নজির বলে প্রচার পাবে, সেই একই কাজ দেড় বছর ধরে দলের সঙ্গে যোগাযোগ না রেখেও সাংসদ পদে থেকে যাওয়া দিব্যেন্দু করলে যে তা সমান নজির তৈরি করবে না সেই বিষয়টি একরকম স্পষ্ট।
পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতারা ঠিক একই প্রশ্ন তুলেছেন। দিব্যেন্দুর চা আমন্ত্রণের পর এখন দেখার কাঁথিতে রাজনৈতিক সভা করতে এসে শেষ পর্যন্ত দিব্যেন্দুর ডাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাড়া দেন কিনা।