Digha -Mandarmani : পর্যটনকেন্দ্রকে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষা করতে অত্যাধুনিক নিকাশি ব্যবস্থার উদ্যোগ

দ্য কোয়ারি ওয়েব: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba medinipur) দিঘা(digha), শঙ্করপুর(shankarpur), তাজপুর(tajpur) এবং মন্দারমণি(mandarmani) পর্যটনকেন্দ্রকে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষা করতে রাজ্য সরকার অত্যাধুনিক নিকাশি পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিচ্ছে।

সাম্প্রতিক আমফান বা ইয়াস ঘূর্ণি ঝড়ের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে সমুদ্রের জল স্থলভাগে ঢুকলেও যাতে ক্ষয়ক্ষতি যথা সম্ভব কম করা যায় এবং সেই জল যাতে সহজে বের করে দেওয়া যায় সেই কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প তৈরি করা হবে।

ইউরোপের নেদারল্যান্ডসের ধাঁচে এই প্রকল্প তৈরি করার জন্য বিস্তারিত প্রকল্প পরিকল্পনা বা ডিপিআর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য দিঘা-শঙ্করপুর ডেভলপমেন্ট অথিরিটির তরফে সম্প্রতি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

নবান্ন সূত্রে জানা গেছে রাজ্য অর্থ দপ্তর থেকেও এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন মিলেছে। এর পর গ্লোবাল টেন্ডার ডেকে ধাপে-ধাপে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এই প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ ধার্য করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চার দিকে সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় এক সময়ে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডাম শহর-সহ অধিকাংশ নীচু এলাকা ফি-বছরই সমুদ্রের জলে প্লাবিত হতো। সেটা আটকানোর জন্য সেখানে অনেক প্রসস্ত খাল ও নালা তৈরি করা হয়েছিল।

পাশাপাশি জল নিষ্কাশনের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পিং স্টেশনও নির্মাণ করা হয়েছিল। তার ফলে আমস্টারডাম-সহ নেদারল্যান্ডসে এখন আর বন্যা হয় না। সেটাই করা হবে দিঘা-মন্দারমণিতে। কয়েক মাস আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর এবং মন্দারমণিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সমুদ্রের জল বাঁধ টপকে পুরো এলাকা ভাসিয়ে দেয়। সমস্ত হোটেল ও দোকানঘর জলের তলায় ছিল। সমুদ্র শান্ত হওয়ার পরও জল সরতে প্রায় দিন পনেরো লেগেছিল। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
স্থায়ী সমাধানসূত্র খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বিশেষজ্ঞ দের মতে অবস্থানগত কারণে দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর এবং মন্দারমণিতে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস আটকানো সম্ভব নয়। কিন্তু ক্ষয় ক্ষতি কথা সম্ভব কম করতে এই সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্বমানের নিকাশি পরিকাঠামো, প্রশস্ত নালা তৈরি হবে।

যেখানে নালা নেই, সেখানে নতুন করে বানানো হবে। তৈরি হবে আধুনিক পাম্পিং স্টেশন।রাজ্য অর্থ দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার পরই ডিপিআর তৈরির জন্যে দিঘা-শঙ্করপুর ডেভলপমেন্ট অথিরিটি টেন্ডার ডেকেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট