এনডিএ ছেড়ে মহাজোটে শামিল হোন, নীতিশকে আর্জি দিগ্বিজয়ের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার বিহারের নির্বাচনী গণনা শেষ হওয়ার আগে থেকেই নীতিশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। গতবারের তুলনায় এবারের নির্বাচনে জেডিইউয়ের খারাপ ফলাফল এবং বিহারে বিজেপির ব্যাপক ফলাফল নীতিশ কুমারের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে তা আঁচ করতে পারছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সময় পার হতেই দলবদলের জন্য নীতিশ কুমারকে আহ্বান জানালেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। এনডিএ শিবির ছেড়ে তেজস্বীকে পিছন থেকে পরিচালনার আর্জি জানান তিনি।
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, বিজেপি হল লতা গাছের মতো। এরা অন্য গাছের ওপর বসবাস করে তারপর সেই গাছকে শুকনো করে দেয়। আপনি এবং লালু জি একসঙ্গে লড়াই করেছেন। লালুজি জেলে রয়েছেন। এই সময় আরএসএসের আদর্শ ছেড়ে তেজস্বীর মাথার ওপর হাত রাখুন। বিহারে লতার মতো বিজেপিকে বাড়তে দেবেন না।
অটল জমানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার পর ২০০৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নির্বাচিত হন নীতিশ কুমার। এরপর একটানা ৪ দফায় ১৫ বছর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে এনডিএ শিবিরের সঙ্গে বিবাদের কারণে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়েন। সেবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন জীতেন রাম মাঞ্জি। ২০১৫ সালে লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে জোট করে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরে আসেন নীতিশ কুমার। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল যাই-ই হোক না কেন নীতশ কুমার যে ফ্যাক্টর তা অবকাশ থাকে না। ২০১৭ সালে ফের বিজেপির সঙ্গে যোগ স্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলেন নীতিশ কুমার।
এদিন বিহারের রাজনীতি ছেড়ে এবার জাতীয় রাজনীতিতে পা বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। বিভাজনের নীতি ছেড়ে আদর্শের রাজনীতির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস নেতা বলে, এই মুহূর্তে সারা দেশের একমাত্র রাহুল গান্ধী আদর্শের রাজনীতি করছেন। ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে বিশ্বাসী সমাজতন্ত্রীদের সহায়তার জন্য নীতিশ কুমারকে আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ।
গতকাল বিহারের বিজেপির হাওয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশেও ক্ষমতা প্রদর্শনের লড়াইয়ে হার হয় কংগ্রেসের। ২৮ টি আসনের উপনির্বাচনে প্রাক্তন সহকর্মী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ায় কাছে মানরক্ষার লড়াইয়ে হেরে গেলেন কমলনাথ এবং দিগ্বিজয়রা। ক্ষমতায় থেকে গেলেন শিবরাজ সিং চৌহান। শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশ নয় উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক সহ একাধিক রাজ্যের উপনির্বাচনে জয়লাভ করে বিজেপি।
এই মুহূর্তে সারা দেশে যেভাবে গেরুয়া ঝড় বইছে তাঁকে প্রতিহত করতে হলে নীতিশ কুমারের মতো নেতৃত্বকে বিরোধী শিবিরের প্রয়োজন। আর বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের মন্তব্যে তা অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গেল।