হীরক রাজার দেশ, ‘কুকথা’ই বহাল ! দলের ব্যাটন দিলীপের হাতে…
বঙ্গ রাজনীতিতে এখন অন্যতম হাতিয়ার ‘কুকথা’। অনেকেই তাঁকে অনুব্রত মন্ডলের যোগ্য উত্তরসূরী বলছেন। তাঁর কুকথার বাক্যবাণে যেভাবে তোলপাড় হচ্ছে উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম, তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন দিলীপ ঘোষ।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কুকথার লাভাস্রোত বিরামহীন। তা সে যে রাজনৈতিক দলই হোক না কেন। তবে আপাতত সেই কুকথার ব্যাটনটি রয়েছে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের হাতে।
বঙ্গ রাজনীতিতে এখন অন্যতম হাতিয়ার ‘কুকথা’। অনেকেই তাঁকে অনুব্রত মন্ডলের যোগ্য উত্তরসূরী বলছেন। তাঁর কুকথার বাক্যবাণে যেভাবে তোলপাড় হচ্ছে উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম, তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন দিলীপ ঘোষ।
এভাবে একের পর এক জনসভা থেকে প্রকাশ্যে উস্কানীমূলক মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। সেইসঙ্গে সরব হয়েছে বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিও। ধিক্কার জানিয়েছেন নাগরিক সমাজও।
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেছেন তাঁরই দলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। দিলীপ বাবুর পক্ষে-বিপক্ষে থাকতে গিয়ে খোদ দলের অন্দরেই ভাগ হয়েছে দুটি শিবির। অন্তত এমনটাই অভিযোগ করছেন বিজেপির একাংশ।
আরও পড়ুনঃ বিতর্কিত মন্তব্যের জের, ভাঙন পদ্ম শিবিরে
কুছ পরোয়া নেহি… সমস্ত তর্ক-বিতর্ককে উপেক্ষা করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অবিচল মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ দ্বিতীয়বারের জন্য আসীন হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে।
হাজার কুকথাকে উপেক্ষা করেই দলীয় প্রয়োজনে আপাতত দিলীপ ঘোষেই যে ভরসা রাখতে চাইছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, তা একপ্রকার স্পষ্ট। যদিও বুধবার বিকেলের মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ফের রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। বাকি ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার মুরলীধর রাও সেটাই সম্পূর্ণ করলেন।
২০১৫-র সেপ্টেম্বরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি হন দিলীপ ঘোষ। সেই মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে। সেসময় দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচনের ঘন্টা বাজায় আরও ১ বছর তাঁর মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেইমত ২০১৯-র সেপ্টেম্বরে শেষ হয় তাঁর মেয়াদ।
এদিন পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর দিলীপ বাবু বলেন, “আগের বার অমিত শাহ আমার মতামত না-নিয়েই আমার নাম ঘোষণা করেছিলেন। আমি জানতামই না কাকে রাজ্য সভাপতি বলে। ৩ বছর সময় দিয়েছিলেন আমায়। এক বছর বোনাস পেয়েছি। ৪ বছর ধরে রাজ্য সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি কিছু করতে পেরেছি, সে জন্য দল আবার আমায় দায়িত্ব দিয়েছে।”
তবে তাঁর উপর কেন্দ্রের এহেন ভরসায় তিনি ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির সভা চলাকালীন আটকে পড়ল অ্যাম্বুলেন্স
উল্লেখ্য, ১৯-র লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ১৮ টি আসনে পদ্ম ফুটলেও মাত্র কয়েকমাসের ব্যবধানেই তিনটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এমনকী হাতছাড়া হয়েছে পদ্মের গড় খড়গপুরও।
সামনেই পুরসভা নির্বাচন। ২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচন। তাঁর আগে দলকে সাংগঠনিক দিক থেকে মজবুত করার পাশাপাশি রণকৌশল নির্ধারণের দায়িত্বও তাঁরই কাঁধে বহাল।
তাহলে ‘কুকথা’-র বাউন্ডারিতেই কী সেই লক্ষ্যভেদ করবেন দিলীপবাবু? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের হেঁশেলে।