মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন , চাপে পড়েই ফুলবদল, মুকুল প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দিলীপ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। চাপে পড়েই দলবদল। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার প্রাত:ভ্রমণে বেরিয়ে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের বিধায়ক পদ খারিজ এর দাবি তুলেছেন তিনি তাঁর কথায় এক দলের হয়ে ভোটে জিতে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন তাই বিধানসভায় জামার মুখ নেই তার। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তিনি।
মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনের শুনানি ছিল মঙ্গলবার। সেই শুনানিতে গরহাজির ছিলেন মুকুল রায়। স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন একমাস পর এই নিয়ে জবাব দেবেন। মুকুল রায় উপস্থিত না থাকায় পিছিয়ে যায় মামলার শুনানি।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব শুরু হয়। অবশেষে বিজেপির সঙ্গে মুকুলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। তিনি যোগ দেন তৃণমূলের তারপরেই বিরোধী আইন প্রণয়নে মুকুলকে নিশানা করে উঠেপড়ে লাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অনলাইনেই পুজোর বাজার, প্রথম সারির সব ই-কমার্স সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে রাজ্য সরকার
উল্লেখ্য, বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে আরও একমাস সময় চেয়েছেন মুকুল রায়। তার বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে বিজেপির আবেদনের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে তিনি এই আবেদন জানান বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গেছে।
এদিন অধ্যক্ষের ঘরে এই সংক্রান্ত শুনানিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাজির থাকলেও মুকুলবাবু ছিলেন না। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সোমবার রাতেই তিনি অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে হাজিরার জন্য একমাস সময় চেয়ে নিয়েছেন।
কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুলবাবু গত এগারোই জুন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে তার বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে বিরোধী দলনেতার আবেদনের প্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত দুটি শুনানি হয়েছে।