‘বাবাকে বলো’ কর্মসূচীতে জেরবার শিশির অধিকারী, কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের দিব্যেন্দু অধিকারীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতা নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে তীব্র তির্যক মন্তব্য করেছিলেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।

তিনি বলেছিলেন, “তৃণমূল লোকসভা ভোটে ১৮ টি আসন হারিয়ে একটি কর্মসূচি নিয়েছিলাম। যার নাম দিদিকে বলো। রূপশ্রী না পেলে দিদিকে বলো। কন্যাশ্রী না পেলে দিদিকে বলো। তাই এবার বিরোধী দলনেতাকে বলছি দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে বাবাকে বলো কর্মসূচি নিন।

যেমন বলা তেমনি কাজ। তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মীরা নেট মাধ্যমে সাংসদের ছবি লাগিয়ে তাঁর মোবাইল নম্বর দিয়ে বিজেপির লোগো দিয়ে শুরু করে দিয়েছেন বাবাকে বলো কর্মসূচির প্রচার। এমন প্রচারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায় “এমন প্রচার যারা করছেন তাদের গায়ে মানুষ থুতু দেবে।”

একইসঙ্গে রব উঠেছে যখনই দলত্যাগ বিরোধী আইন বলবৎ করার কথা শুভেন্দু অধিকারী বলবেন সকলেই তাঁকে একযোগে আক্রমণ করবেন, বাবাকে বলো কর্মসূচি করতে। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে কাঁথির সাংসদ বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারীকে রীতিমতো মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে হয়েছে।

আগামী সপ্তাহেই রদবদল, তারুণ্যের উপরেই জোর দিচ্ছেন মমতা

এই পরিস্থিতিতে এবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন শিশিরবাবুর ছেলে ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন নেট মাধ্যমে মোবাইল নম্বর দেওয়ার ফলে অনেকেই প্রবীণ সাংসদকে ফোন করছেন।

যার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উদ্দেশ্য, সাংসদকে বিব্রত করা। কোনরকম অনুমতি না নিয়েই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বর্ষীয়ান শিশিরবাবু মানসিক উদ্বেগ এবং যন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী।

মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দিব্যেন্দু।তারা হল সন্ধ্যা ধাউ, প্রশান্ত কাডু বসু, অরিজিৎ নন্দী, শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দন জানা তিনি জানিয়েছেন অবিলম্বে ফেসবুক থেকে যাতে সরিয়ে নেওয়া হয় ওই ফোন নম্বর ও ছবি।  তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে ১১ জুন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এরপর থেকেই দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে উঠে পড়ে লেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। চলতি মাসের ১৬ তারিখ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় এই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন। শুভেন্দুর সেই উদ্যোগকে লক্ষ্য করেই তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক তাঁর বাবার অবস্থান স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তাঁকে সেখান থেকেই সূত্রপাত হয়েছে বাবাকে বলো কর্মসূচির।

সম্পর্কিত পোস্ট