কলকাতায় শুরু অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গোটা দেশে অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচল শুরু হয়েছিল আগেই। গোটা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে অন্তর্দেশীয় বিমান চালু হলো বৃহস্পতিবার। করোনা আবহে সামাজিক দূরত্বের বিধি এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সাবধানতা মেনেই এদিন বিমান যাত্রা শুরু হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে সবধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রাখা হয়। এদিন বিমান যাত্রী থেকে শুরু করে এয়ার হােস্টেস প্রত্যেকের মুখে মাস্ক ছিলো মাস্ট। যাত্রীদের আগেই বলে দেওয়া হয়েছিল টিকিট হাতে নিয়ে বাের্ডিং করার প্রয়ােজন নেই।

অতীতে যেখানে দু ঘণ্টা আগে বিমান বন্দরে আসার কথা বলা হত। এখন সেখানে আরও কিছুটা সময় হাতে নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। এদিন বিমান সেবিকা দের জন্য ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বিমান সেবিকাদের আপাদমস্তক মােড়া পিপিই -তে । এভাবেই প্রায় দুমাস পরে সম্পূর্ণ নতুন রূপে আজ থেকে কলকাতায় শুরু হলা বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা।

আমফান পরবর্তী ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও বৃহস্পতিবার সকালে নির্ধারিত সময়ে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে উড়ে গেল অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান। এ

রপরই সকাল ৬-৫০-এ দিল্লি থেকে ১২২ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতায় এসে নামে এয়ার এশিয়ার বিমান । তবে সকাল থেকেই বৃষ্টি এবং আকাশ মেঘলা থাকা কলকাতায় দুপুর পর্যন্ত বিমান আসার হিড়িক চোখে পড়েনি।

‘থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়’, রাজনীতি আমার সরকার তোর

এদিনই ভারতের বাণিজ্যিক বিমান সংস্থাগুলাের মধ্যে প্রথমবার ভিস্তারা দিল্লি থেকে কলকাতা আসার জন্য ড্রিমলাইনার সিরিজের ৭৮৭-৯ বােয়িং বিমান চালু করল ।

অন্যদিকে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মেনে যাত্রীরা বিমানবন্দরে পৌঁছে যান অনেক আগেই । করােনা সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে এই প্রথমবার কলকাতা বিমানবন্দরে শরীরে তল্লাশি করার জন্য অত্যাধুনিক স্ক্যানার এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় ।

সেই সঙ্গে কলকাতা থেকে যেসব যাত্রী এদিন ভিন রাজ্যে যাওয়ার বিমানে ওঠেন তাদেরও এয়ারপাের্টে ঢােকার আগে সিআইএসএফ জওয়ানরা স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে থার্মাল গানের সাহায্যে কারাে জ্বর আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখেন।

ডিজিসিএ – র গাইডলাইন মেনে প্রত্যেক যাত্রীকেই একটি সেলফ ডিক্লেয়ারেশন জমা দিতে হচ্ছে তাঁরা শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ কিনা এবং তাঁদের শরীরে করােনা কোন উপসর্গ রয়েছে কিনা।

একই সঙ্গে বিমান বন্দরে পৌঁছানাের জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পর্যাপ্ত সংখ্যক সরকারি বাস এবং ট্যাক্সির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট