‘ডোন্ট কেয়ার শুভেন্দু’ ! নির্বাচনী প্রচারের কর্মসূচী ঘোষণা মমতার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  ‘পলিটিক্স ইজ দ্য পসিবল ইন্ডাস্ট্রি’ এ কথাটা কতখানি সত্য সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বোধহয় শুভেন্দু অধিকারী। সেইসঙ্গে অন্য এক বর্ষীয়ান বিধায়ক মিহির গোস্বামী। যিনি দীর্ঘ ত্রিশ বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী হিসেবে কাজ করেছেন আজ দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তিনি চলে গেলেন বিজেপিতে। আর এই দুই বিধায়কের কাজকে যিনি প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন জানিয়েছেন, তিনি আরও এক বর্ষীয়ান বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত।

তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যায় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ত্যাগ করছেন। তাহলে আগামী দিনে একুশের নির্বাচনের আগে কি করে বড় ক্ষত সারিয়ে উঠবে শাসক দল? তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গিয়েছিল শুক্রবার সন্ধেবেলা কালীঘাটের বৈঠকে।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন, তাঁর বলা কথা এবং কাজ। অর্থাৎ তিনি বারবার একটা কথা বলে এসেছেন দলের উর্ধ্বে কেউ নয়। শুক্রবার কার্যত সেই কথাটাই তিনি প্রমাণ করে দিলেন।

জোড়া ধাক্কা সামলে শুক্রবার কালীঘাটে বৈঠকে বসে ছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানেই ঠিক হয় শুভেন্দু অধিকারীর হাতে যে তিনটি দপ্তর ছিল সেগুলি আপাতত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দেখবেন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/cm-mamamata-banerjee-is-only-one-person-who-can-fight-against-bjp/

পাশাপাশি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর ঘোষিত অবস্থান থেকে তিনি সরে আসবেন না। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী দলের পর্যবেক্ষক এর যে পদ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিলেন তা মানা হচ্ছে না।

আপাতত তৃণমূলের গোপন বৈঠক এটা স্পষ্ট শুভেন্দু অধিকারীকে ডোন্ট কেয়ার করে এগিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল।

একাংশ বলছেন যে বা যারা দলে থাকতে চাইবে তাদের স্বাগত। আর কেউ বা কারা অন্য কোথাও চলে যেতে চাইলে তাদেরকে কেউ আটকাবে না। কিন্তু সিদ্ধান্ত প্রত্যেককে নিজেকেই নিতে হবে। তৃণমূল কেউ দল ত্যাগ করলে তার বিধায়ক পদ খারিজ করবে না।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/jammu-kashmir-first-day-election-coming-to-an-end/

এছাড়া এদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৭ ডিসেম্বর থেকে রাজপথে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে জনগনকে সচেতন করা। সেই সঙ্গে তুলে ধরা শাসকদলের উন্নয়নের খতিয়ান।

প্রসঙ্গত উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণ বঙ্গের সমস্ত জেলা গুলিকে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পয়লা ডিসেম্বর থেকে জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করতে হবে। তুলে ধরতে হবে উন্নয়নের খতিয়ান এবং সেইসঙ্গে কেন্দ্র যেভাবে বঞ্চনা করছে তাও।

প্রসঙ্গত,  শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মালদা জেলার নেতৃত্বকে ডেকে পাঠিয়েছেন।কলকাতায় বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, একসময়ে এই মালদা জেলার দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । আগামী দিনে তাঁর অনুগামীরা কী সিদ্ধান্ত নেবেন এবং তাতে দলের ভূমিকা কী হবে এদিনের বৈঠকে তা স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত সাইডে রেখেই ২১ এর নির্বাচনে সর্বশক্তিতে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল তা একের পর এক সিদ্ধান্তে পরিস্কার।

সম্পর্কিত পোস্ট