মঙ্গলবার থেকে শুরু ‘দুয়ারে সকার’, কী কী সুবিধা?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলেছে রাজ্য সরকারের নতু প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’।মানুষ এই প্রকল্পের সমস্ত সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তা দেখার জন্য সম্পুর্ণ নজরদারি রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘দুয়ারে সরকার’ এর কর্মসুচী রূপায়নে গঠন করা হয়েছে কমিটি। সেই কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়ছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিবকে নিয়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটি এই প্রকল্পের ওপর নজর রখবে।

তিনি আরও বলেন, যারা বঞ্চিত বা ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন না, সকলকেই সুবিধা প্রাপকদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্যই এই পদক্ষেপ। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভার ওয়ার্ডের স্তরে এ জন্য শিবিরের আয়োজন করা হবে। স্থানীয় কোনও স্কুল বা কলেজের ভবন বা কমিউনিটি সেন্টারে এই সব শিবিরগুলি চলবে।

আরও পড়ুনঃ দিলীপের প্রস্তাব ফিরিয়ে পাল্টা আক্রমণ ছত্রধরের

রাজ্য সরকারের যে ১০টি প্রকল্পকে এই যোজনার আওতায় রাখা হয়েছে– স্বাস্থ্য সাথী, শিক্ষাশ্রী, খাদ্য সাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, কাস্ট সার্টিফিকেট, তফসিলি বন্ধু, জয় জহর ও একশো দিনের কাজ। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, চারটি ধাপে রাজ্যজুড়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করা হবে ।

মুখ্যসচিবের কথায়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেতে হলে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর এবং পৌর ওয়ার্ড স্তরে আয়োজিত ক্যাম্পে আসতে হবে। প্রথম রাউন্ডে কেউ এসওপি নিয়ে এলে দ্বিতীয় রাউন্ডেই কার্ড পেয়ে যাবেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে এসওপি দিলে তৃতীয় রাউন্ডে কার্ড পাবেন।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যসচিব আরও বলেন, জাতিগত শংসাপত্রের জন্য ক্যাম্পে এসে আবেদন করা যাবে। এ ছাড়াও ৬০ বছরের উর্ধ্বে আদিবাসী, এবং দলিত সম্প্রদায়ের কোনও বর্ষীয়ান নাগরিক যিনি আর কোনও সরকারি আর্থিক সুবিধা পান না, তাঁকে মাসিক ১০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর এবং অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের ‘জয় জোহর’ এবং  ‘তফশিলি বন্ধু’ প্রকল্পের আওতায় এই টাকা পাবেন তাঁরা।

খাদ্য সাথী সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যার জন্য এই ক্যাম্পে আবেদন করতে হবে। নাম ঠিকানা সংশোধন করা হবে। কুপন থেকে কার্ডে রূপান্তরিত করার জন্য ভিন্ন উপায়ে আবেদন করতে হবে।

অনগ্রসর শ্রেণী, তফসিলি জাতি এবং আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের বছরে ৮০০ টাকা আর্থিক সাহায্য পাবেন। ঐক্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা বৃত্তি পান। ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প গুলির মাধ্যমে আমরা আরও দক্ষতার সাথে আমাদের প্রতিশ্রুতি পালন করব।

এই প্রকল্পের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত কন্যাশ্রী প্রকল্পও আছে। রাজ্যের অধিকাংশ ছাত্রীই এই প্রকল্পের আওতাধীন।  কিন্তু কোনও ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে এই ক্যাম্পে যোগাযোগ করতে পারেন। গোটা রাজ্যে প্রায় কুড়ি হাজার ক্যাম্প তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রূপশ্রী সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে তাঁরা এই ক্যাম্পে আসতে পারবেন।

কৃষি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে তাঁরা এই ক্যাম্পে এসে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। ১০০ দিনের কাজ এবং জব কার্ড সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলেও এই ক্যাম্পে সমাধান করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট