আমফানের কারণে ১৩০০ সিসিটিভি অচল, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সারাইয়ের নির্দেশ লালবাজারের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় আমফানের ধ্বংসলীলা এখন অতীত। দেখতে দেখতে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হয়ে গিয়েছে আট দিন হল।
ক্রমেই শহরের জল-বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হচ্ছে। স্বাভাবিকতার পথে ক্রমশই ফিরছে তিলোত্তমা।
কিন্তু সকলের অজান্তেই কলকাতার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়ে গেছে এই ঘূর্ণিঝড়। আমফানির প্রভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জটিল সমস্যায় পড়েছে লালবাজার।
কারণ শহরের অধিকাংশ সিসিটিভি-র হাল বেহাল। ফলে লালবাজারের সাধের কন্ট্রোলরুম এখন কিছুটা হলেও বিপাকে।
লাল বাজার থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ে কলকাতা শহরের তেরোশো বেশি সিসিটিভি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
বিজেপির উস্কানীতে নিজের পাড়ায় বিক্ষোভের মুখে ফিরহাদ
এখন মাত্র শহরের ১৫ শতাংশ সিসিটিভি কাজ করছে। খারাপ হয়ে যাওয়া সিসিটিভি গুলি দ্রুত সারাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।
কলকাতায় প্রতি মুহূর্তে কোথায় কি হচ্ছে, কোথায় হচ্ছে যানজট? কোথায় ভাঙ্গা হচ্ছে আইন?
ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি লালবাজারের বড় ভরসা তাদের ডিজিটাল চোখ। ট্রাফিকের এই সিসিটিভির চোখেই গোটা শহরকে দেখে লালবাজার। কিন্তু আমফানে সেই চোখে হারিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
লালবাজারে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে এই মুহূর্তে শহর কলকাতায় মোট ১৬০০ বেশি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এরমধ্যে এখন কাজ করছে মাত্র ৩০০ টি ক্যামেরা।
বড় বিপদ হলে তাকে সনাক্ত করার ক্ষেত্রে জটিল সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। ভিডিও একটা স্বস্তির দিকও আছে। লকডাউন চলছে তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে বাইরে বেরোনোর প্রবণতা একটু কম।
একইসঙ্গে এই সময়ে অপরাধের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু শুধু এই লোক ডাউনের দোহাই দিয়ে স্বস্তিতে থাকতে চায়না লালবাজার তাই দ্রুত তাদের চোখ সারাই করে আবার পূর্ণ শক্তি দিয়ে নজরদারি চালাতে চাইছে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ দপ্তর।
আর সে কারণেই মোট ২৫ টি ট্রাফিক গার্ড এর থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে লালবাজার।
তাদের বলা হয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই সিসিটিভি গুলোকে মেরামত করতে।