হাইকোর্ট চলাকালীন নিখরচায় ১৫ টি বাসে কর্মীদের আনা নেওয়ার ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  গোটা দেশজুড়ে আনলক ওয়ান প্রক্রিয়া চলছে। ধাপে ধাপে স্বাভাবিক হচ্ছে পথ ঘাট বাজার এমনকি অফিসও। আগামীকাল সোমবার থেকে খুলে যাবে অফিস। ৭০ শতাংশ সরকারি কর্মচারী কাল থেকেই অফিস হবেন।

বেসরকারি সংস্থাগুলো চাইলে কাল থেকেই ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করতে পারে। একইভাবে এই অবস্থাতে খুলতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টও।  আগামী ১১ জুন থেকে সেখানেও ধাপে ধাপে কাজকর্ম শুরু হবে।

প্রথমদিকে নিয়মিত না হলেও পরীক্ষামূলক ভাবে এজলাস চালানোর কথা ভাবছে হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। তারপর পরিস্থিতি ভেবে ব্যবস্থা। কিন্তু এর মধ্যেও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ।

এই সময় প্রায় প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ছে। এই অবস্থায় হাইকোর্টের কর্মী তথা আইনজীবী ও বিচারকদের সুস্থভাবে কর্মক্ষেত্রে নিয়ে আসাটাও বড় চ্যালেঞ্জ।

মূলত একথা মাথায় রেখেই হাইকোর্টের এজলাস সচল রাখতে জেলা থেকে ১৫ বাসে কর্মীদের পিক-আপ, ড্রপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১৫ বাসে বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মীদের আনা হবে প্রথম দিন থেকেই। নিয়ন্ত্রিতভাবে হাইকোর্টের এজলাস সচল করতে প্রয়োজন কর্মীদের। কোভিড ১৯ প্রোটোকল মেনে বাসে কর্মীদের আনা হবে।

আসনের সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে কর্মীদের আনা হবে বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর। হাজারেরও বেশি কর্মী ছড়িয়ে রয়েছেন রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মীদের আনতে ৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে কর্মীদের বাসে পিকআপ ও ড্রপের সুবিধা।

কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনের তরফে ১৫টি বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নিখরচায় বাসে কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলা থেকে হাইকোর্ট স্টাফেদের আনা হবে। কলকাতা শহরের একাধিক পয়েন্ট থেকে যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাসের ব্যবস্থা থাকছে।

সোমবার থেকে পেটের তাগিদে ছাড়ের সাগরে ভাসবে মহানগরী, উপেক্ষিত করোনা

বর্ধমানের নবাবহাট বাসস্ট্যান্ডের থেকে ২টি বাস ছাড়বে সকাল সাতটা নাগাদ। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং জিটি রোড হয়ে স্টাফেদের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে তুলে কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ন’টার মধ্যে। পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা থেকে সকাল সাতটায় একটি বাস ছাড়বে।

উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর, বজবজ, নদিয়া জেলার কল্যাণী থেকে কর্মীদের আনার জন্য সরকারি বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কলকাতা এয়ারপোর্ট ২.৫ নম্বর গেট এবং গড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়বে বাস।

প্রতেক বাসে লাগানো থাকবে অন ডিউটি হাইকোর্ট স্টিকার। হাইকোর্ট সময়কাল শেষ হওয়ার পর ফের একই রুটে ড্রপেরও সুবিধা থাকছে। প্রায় ২২০০ কর্মী রয়েছেন হাইকোর্টের।

কয়েকশো কর্মী নিজের উদ্যোগে এবং আরও কয়েকশো সাধারণ পরিবহন পরিষেবায় অফিস এলেও কর্মী অভাব থেকেই যায় । তাই নিখরচায় বাস পরিষেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ট্রেন, মেট্রো ও বাস পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই কর্মীদের হাজিরা সুনিশ্চিত করতে চায় হাইকোর্ট প্রশাসন।

সম্পর্কিত পোস্ট