এই সরকারের আমলে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী সকলেই রাস্তায়, রাজ্যকে তোপ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত শিক্ষা বাঁচাও কর্মসূচি ছিল বিজেপির। এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা সহ অন্যান্যরা।

কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। শেষ হয় ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে। আর সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন মিছিলের সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে এদিন তিনি বলেন, এই সরকারের শাসনে এ রাজ্যের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী সহ সবাই আজ রাস্তায়। শুধুমাত্র শিক্ষা নয়। এই সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ।

দিন কয়েক আগেই তিনি হাজির হয়েছিলেন পার্শ্বশিক্ষকদের অনশন মঞ্চে। সেই রেশ টেনেই এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পার্শ্বশিক্ষকদের কী অবস্থা তা আমরা দেখেছি। শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি মানুষের দৈন্যদশা প্রতিদিন প্রকট হয়ে উঠছে। পার্শ্বশিক্ষকদের এই সরকার আশ্বাস দিয়েছিল ধাপে ধাপে তাদের স্থায়ীকরণ করা হবে। কিন্তু করা হয়নি। শিক্ষা মিত্ররা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাতে গিয়েছিলেন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

খবর পরিবেশনে নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার, দিশা রবির মামলায় সতর্ক করল আদালত

এদিন প্রত্যেকটি ইস্যুতে রাজ্য সরকার যেভাবে কেন্দ্র সরকারকে দায়ী করে অন্য রাজ্যে তুলনা টেনে সে বিষয়েও মন্তব্য করেন রাজীব। তিনি বলেন, আগে উচিত নিজেদের রাজ্যকে ঠিক করা। অন্যের রাজ্য কে কি করলো সেটা দেখার প্রয়োজন নেই। সমঝোতা না করে সবসময় কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে উন্নয়নে ব্যাঘাত করছে এই সরকার।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্যের সর্বত্র পথে নেমেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পার্শ্বশিক্ষক থেকে অস্থায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক, প্রাইমারি শিক্ষকরা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।

কয়েকদিন ধরেই শহরের বুকে চলেছে শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের উদ্যোগে অনশন কর্মসূচি। যদিও মুকুল রায়ের আশ্বাসে অনশন উঠলেও ওঠেনি অবস্থান বিক্ষোভ। মামলা করিয়েছে আদালতে।

বিকাশ ভবন অভিযান থেকে নবান্ন অভিযান সর্বত্রই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই রাজ্য সরকারের হুঁশ ফেরাতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পিছনে আদিগঙ্গায় নেমে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষকরা। আদিগঙ্গা থেকে শিক্ষকদের তুলতে রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশ। এর পরেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির।

মাদক সহ গ্রেফতার বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামী

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপির পরিবর্তন যাত্রায় শিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষকদের অবস্থার উন্নতি হবে। একইসঙ্গে এ রাজ্যে চালু হবে সরকারি কর্মীদের সপ্তম বেতন কমিশন।

রাজনৈতিক মহলের মতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে পথে নেমেছেন শিক্ষকরা তাতে বেশ খানিকটা চাপে পড়তে হবে রাজ্যের শাসক শিবিরকে।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অবিলম্বে উচিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষকদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। নাহলে ভোটবাক্সে এর প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহল মহলের একাংশ।

সম্পর্কিত পোস্ট