মেট্রো নিয়ে টানাটানি, আসরে বাম-বিজেপি-তৃণমূল
কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুরু থেকেই বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রন জানানো হয়নি কেন্দ্রের তরফে।
সেই বিতর্কের আগুনে জল পড়তে না পড়তে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তৃণমূলের তরফে পোস্টার পড়েছে করুণাময়ী, সল্টলেক স্টেডিয়াম মেট্রোর কাছে, বিকাশ ভবন, ময়ূখ ভবন, বাইপাস, লেকটাউন সহ বিভিন্ন জায়গায়।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাজপেয়ী জমানায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের ভাবনা প্রস্তাবিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বাস্তবায়নের সময় তাঁকেই আমন্ত্রন জানানো হল না। বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি বিধাননগর নাগরিক বৃন্দ ও বিধাননগর ক্লাব সমন্বয় কমিটি। তাই নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। আর সেই পোস্টার নিয়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক।
নজরে আসতেই বিষয়টি নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বাম ও বিজেপি। পাল্টা পোস্টারও দিয়েছেন তারা।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো উদ্বোধনের দিন বাম-কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা ইউপিএ-১ জমানার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই ছবিতে মেট্রো প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সাংসদ মহম্মদ সেলিম, সুধাংশু শীলরা এক ফ্রেমে। সল্টলেকের রাস্তায় এখন চোখে পড়বে সেই পোস্টারও।
পাল্টা বিজেপির তরফে শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টার দেওয়া হয়েছে।সেই পোস্টারে রয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযুশ গোয়েল ছাড়াও রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজারহাট-নিউটাউন এর বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বলেন-“আজকে যিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি ৯ বছর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আমার যতদূর ধারণা তারও ৩-৪ বছর আগে তিনি কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী ছিলেন। সেই জায়গায় ১৩ বছর আগে তিনি কী করেছেন, কবে ঘি দিয়ে ভাত খেয়েছেন তার গন্ধ এখন যদি তৃণমূলীরা শুঁকতে চায় তো ঘি-ও শুকিয়ে গেছে হাতও ধুয়ে ফেলেছে সে আর শুঁকে লাভ নেই।”
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বিগত ৭ বছর ধরে “প্রধানমন্ত্রী মোদিজি কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে। আর কেন্দ্রীয় সরকার না চাইলে এখানে অর্থও বরাদ্দ হতো না, আর এখানে মেট্রোও চলতো না। আর বিধাননগর বাসি কিন্তু উচ্চশিক্ষিত । যারা এই হোডিং দিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে আমি তাদের বলব এই পয়সা ভালো কাজে লাগান শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। বেকার বিধান নগর কে এই হোডিং দিয়ে জঞ্জালে ভর্তি করে লাভ নেই।”
প্রসঙ্গত আর কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগে পোস্টার বিতর্ক রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে তা স্পষ্ট।