মাধ্যমিকে পাশ করেছে ১০০ শতাংশ, উচ্চমাধ্যমিকে ১০ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ভর্তিই বড় চ্যালেঞ্জ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। তারপরেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নির্দেশিকা জারি করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এদিন সংসদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ভর্তির জন্য ন্যূনতম নম্বর বেঁধে দেওয়া হয়েছে এবার।

অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, ভূগোল, কম্পিউটার সায়েন্স ও স্ট্যাটিসটিকস এর মত বিষয়গুলি নিয়ে এবারের মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে চাইলে তাদের ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর বাধ্যতামূলক। তবেই সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি ভর্তি নেবে ছাত্র-ছাত্রীদের।

চলতি বছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন ৭৯ জন। এর আগে কখনো এরকম হয়নি। সাময়িকভাবে শিক্ষার্থীরা খুশি হলেও বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। পাস করেছে এরকম ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যেকেই যদি একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে চান সেক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে পরিকাঠামোগত।

কারণ দশ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা মাত্র ৭ হাজার। শিক্ষিকাদের কথায় এভাবে ফল প্রকাশ করায় ক্ষতির মুখে পড়বে শিক্ষাব্যবস্থা। নম্বর বিন্যাসের ক্ষেত্রে এবছর যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাতে যারা ০ পায় তারাও ৫০ পেয়েছে। সবথেকে বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষকরা।

করোনার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেশী শিশুদের, প্রাথমারী স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল ICMR-র

মাধ্যমিক পাশের পর ফলাফল ভাল হলেই সবাই সাইন্স বা কমার্সের দিকে ঝোঁকে। সেক্ষেত্রে যোগ্যতা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হবে। পাশাপাশি রাজ্যে ১০ হাজার মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। আর ৭ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক। ২০২১ সালে পাশ করেছেন ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী। কীভাবে তারা ভর্তি হবে সেটাও বড় প্রশ্ন।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের কথায় এভাবে ফল প্রকাশ করায় আখেরে ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদের। ৯০ শতাংশ পরীক্ষার্থী প্রথম বিভাগে পাস করেছে। রেজাল্টই ভুলে ভরা । ভালো ফলের আনন্দ উপভোগ করার থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়াই আপাতত বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তিনি।

এদিন সকালে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর সকল পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে ১০০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী পাশ করায় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে শিক্ষক মহলে।

সম্পর্কিত পোস্ট