একুশ হল অন্দোলনের নাম,পরিবর্তনের নাম, একুশের নির্বাচন দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াইঃ মুখ্যমন্ত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অতীতে তৃণমূল সুপ্রিমো বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইকে দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই বলে ব্যাখ্যা করেছেন। এবার অর্থা‍ৎ ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, একুশ হল অন্দোলনের নাম। পরিবর্তনের নাম। একুশের নির্বাচন দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই। তাঁর মতে, এই লড়াই শুধু রাজ্যের ক্ষমতা ধরে থাকার লড়াই নয়, ওই লড়াই দেশকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ারও লড়াই।

এদিন ছাত্র পরিষদের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তুলোধনার পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের সুরটাও বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে শুধু বাংলা নয় তাকিয়ে আছে গোটা দেশ।

গোটা দেশে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বিজেপিকে যদি কেউ থামাতে পারেন তা পারবেন তিনিই। আগামী বছরের নির্বাচন দেশের মানুষের কাছেও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

মুখ্যমন্ত্রীর মতে, দেশের মানুষ থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমেরও আজ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশেরও ক্ষমতা নেই। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কিছু বললেই তার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে। তাই ২১শে লড়াই হবে, ভারতের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই। ভারতকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবে এই বাংলা।

তিনি বলেন, কাপুরুষ প্রতিদিন মরে। বীরপুরুষ একদিনই মরে। প্রয়োজনে মরে গিয়েও দেশের মানুষকে তাঁদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে।

একই সঙ্গে তিনি এটাও জানান, উত্সব চলছে, কিন্তু তা আমারা করতে পারছি না। করোনা চলছে তাই। তবে এই করোনা একদিন ঠিকই চলে যাবে, কিন্তু রাজনৈতিক মহামারি যাবে না এত সহজে। এরা তাণ্ডব চলছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে কালা আইন করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে কথা বলছে যার ৯৯টাই ভুয়ো খবর। এই রাজনৈতিক মহামারীর বিরুদ্ধে মানুষকেই লড়াই করতে হবে।’

কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রতিবছর ২০০ জন পড়ুয়াকে সিএমওতে কাজ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা আরও বলেন, আজ অনেক কষ্টের মধ্যে রয়েছি। করোনা মহামারি রুখে নেব। কিন্তু আপনাদের লড়তে হবে রাজনৈতিক মহামারির বিরুদ্ধে।

এদিন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিজেপিদের কুকথা নিয়েও আক্রমণ করতে ছাড়েননি বাংলার অগ্নিকন্যা। তিনি বলেন, এখন দেশের সরকারের সব নীতি তৈরি করে নীতি আয়োগ। যাঁদের কোনও নীতিই নেই তাঁদের আবার আয়োগ। লোকাল মিডিয়া কিছুটা সত্য খবর বলে, ন্যাশনাল মিডিয়া বিজেপির নির্দেশে চলে। এই পরিস্থতি দেশে কখনও আসেনি। অনেকেই নানা সময়ে উল্টোপাল্টা বকে চলছেন। আগে ভালো কথা বললে লোকে বলতো জিভে সরস্বতী আছে। আর এখন বিজেপির নেতাদের মুখ দিয়ে যা বার হয় তা আর বলা যায় না। ওদের জিভটা সম্পূর্ণ আছে কিনা, তা দেখতে হবে। সিনিয়র নেতারা যেভাবে কথা বলছে, তাতে শিক্ষা কেমন, তা স্পষ্ট।

সম্পর্কিত পোস্ট