তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ দিতে পারে না নির্বাচন কমিশনঃ সুপ্রিম কোর্ট

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিহারের সঙ্গে নির্বাচনী উত্তাপ বেড়েছে মধ্যপ্রদেশেও। কুরুচিকর মন্তব্যের কারণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কলনাথকে উপনির্বাচনের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টে মামলা গড়ালে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে।

মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের দায়ের করা আবেদনের শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে নির্বাচন কমিশনের সামনে কতগুলি প্রশ্ন তুলে ধরেন। তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত কিভাবে নির্বাচন কমিশন নিতে পারে? আপনি নাকি কোনও দলীয় নেতৃত্ব? তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতা কে হবেন তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা আপনি পান কি করে? তারকা প্রচারক কে হবে, সেটা আপনি ঠিক করবেন, নাকি দল?

উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর কমলনাথের ওপর থেকে তারকা প্রচারকের তকমা তুলে নেয় নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচনের প্রচারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কিছু মন্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধিকে লঙ্ঘন করে বলে অভিযোগ আনে কমিশন। এমনকি বিজেপি নেত্রী ইমারতী দেবীকে “আইটেম” বলায় তা নিয়ে কম রাজনৈতিক জলঘোলা হয়নি। সেবার কমলনাথকে একটি সুযোগ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পরে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে ‘নটাঙ্কি’, ‘কালাকার’ বলে কটাক্ষ করেন কমলনাথ। নির্বাচন কমিশনের তরফে অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারে নৈতিক এবং মর্যাদাপূর্ণ আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন কমলনাথ।

৩১ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কমলনাথ। সেবার তিনি জানিয়েছিলেন, দল কাকে তারকা প্রচারক হিসাবে ব্যবহার করবে সেটার দলের ওপরেই নির্ভর করবে। নির্বাচন কমিশনের ওপর নয়। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করে বলে দাবী করেন তিনি।

আগামীকাল বিহার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার পাশাপাশি রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ২৮ টি আসনে উপনির্বাচন। যার মধ্যে ২২ টি আসনের প্রার্থী রয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ঠরা। ক্ষমতায় আসতে হলে কংগ্রেসকে ২৮ টি আসনেই জয়লাভ করতে হবে। অন্যদিকে মাত্র ৯ টি আসনে জয়লাভ করলেই মুখ্যমন্ত্রী শিবিরাজ সিং চৌহানের ক্ষমতা নিয়ে আর কোনঅ প্রশ্ন থাকবে না। তবে কংগ্রেস বনাম বিজেপি লড়াই হলেও ২৮ টি আসনে উপনির্বাচনের লড়াই জ্যোতিরাদিত্যের মানরক্ষার লড়াই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট