বর্ধমান স্টেশনের ভাঙন, দায় কার? উঠছে প্রশ্ন…
শনিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান রেল স্টেশনের এই হেরিটেজ ভবনটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ে মূল প্রবেশপথের একাংশ। ভবনের এই অংশেই রয়েছে টিকিট কাউন্টার। সে সময় স্টেশন চত্বরে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রায় ১৬৫ বছর আগেকার কথা। ভারতবর্ষে তখন ব্রিটিশ রাজ। ভারতের স্বাধীনতা বিপ্লবের বহু ঘটনার সাক্ষী বর্ধমান স্টেশনের এই ভবনটি।
১৮৫৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পান্ডুয়া থেকে বর্ধমানে প্রথম রেলপথ চালু হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান রেল স্টেশনের এই হেরিটেজ ভবনটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ে মূল প্রবেশপথের একাংশ। ভবনের এই অংশেই রয়েছে টিকিট কাউন্টার। সে সময় স্টেশন চত্বরে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।
এরপরই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। পশ্চিমবঙ্গে যে প্রাচীন রেল স্টেশনগুলি রয়েছে খড়গপুর,আসানসোল,দুর্গাপুর সহ অন্যান্য স্টেশনগুলির রক্ষণাবেক্ষণ যদি ঠিকভাবে না হয় তাহলে আগামী দিনে ঘটতে চলেছে বড় কোনো দূর্ঘটনা।
এই পথে যাতায়াত করতেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। বোলপুর যাওয়ারও একমাত্র পথ বর্ধমান। তালিত, খানা জংশন, ঝাপাটের ঢাল, বানপাসা, নোয়াদের ঢাল, গুসকরা, পিচকুড়িরঢাল, ভেদিয়া পেরিয়ে বোলপুর স্টেশন। পুরোনো হয়েছে সেই ভবনটিও।
আরও পড়ুনঃ নজর ঘোরাতেই নতুন ইস্যু NRCও CAA , বলছেন কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য পঙ্কজ ঘোষ
নোবেল পুরস্কার পেয়ে এই পথ দিয়েই বোলপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন অমর্ত্য সেন।
সেদিন হাজার হাজার মানুষ এই স্টেশনেই দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য।
রেলপথে সমগ্র উত্তর ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল বর্ধমান রেল স্টেশন।
বাণিজ্যিক দিক থেকে বর্ধমান রেলস্টেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিহার মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম এই স্টেশন।
একদিকে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে চলছে গুঞ্জন। অন্যদিকে নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রেলমন্ত্রীর চেয়ারে যারা যারা বসেছেন তাঁরা প্রত্যেকবারই বর্ধমান স্টেশনের সংস্কার নিয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন আমজনতাকে।
যদিও সময় থাকতে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
শনিবার রাতে ভবনটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাটল ধরেছে আশপাশের অংশেও। জখম হয়েছেন দুইজন। তাদের চিকিৎসা চলছে।
এখন প্রশ্ন যদি আরও বড় কোনো দূর্ঘটনা ঘটত তাহলে সেই দায় কার হত? ভাড়া বৃদ্ধি হলেও সঠিক ভাবে কেন রক্ষণাবেক্ষণের করা হচ্ছে না?