টেট পাশ করার পরেও মেলেনি নিয়োগপত্র, চলছে অনশন-বিক্ষোভ
সোমনাথ চক্রবর্তীঃ সংখ্যাটা প্রায় ১২০০। এখনও নিয়োগ পাননি ২০১৫ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ ও ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা। তাই একপ্রকার নিরুপায় হয়েই অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন তারা।
এদিন উত্তর ২৪ পরগণা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে অনশন করেন প্রায় ১০০ জন চাকরিপ্রার্থী। প্রত্যেকের হাতেই প্ল্যাকার্ড।
এক অনশনকারীর কথায়,”আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে আমরা জানাতে চাই,যারা প্রশিক্ষিত নয়,তবুও তারা চাকরী পেয়ে গিয়েছেন,অথচ আমাদের এখনো অনশন করে বেকারত্বে দিন কাটাতে হচ্ছে।”
নিয়োগের দাবিতে রাজ্যজুড়ে প্রতিটি জেলায় জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে শামিল হয়েছেন প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত ঐক্য মঞ্চ।
এখনও নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে এদিন বিক্ষোভ স্থল থেকে ক্ষোভ উগরে দেন আন্দোলকারীরা। তাদের দাবি অবিলম্বে নিয়োগপত্র হাতে দিতে হবে। নাহলে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে অনশনে বসারও হুঁশিয়ারী দেন তারা।
২০১৫-১৭,২০১৬-১৮ এবং ২০১৭-১৯ সেশন ধরে ডিএলএড ট্রেনিং সম্পূর্ণ করা প্রায় ১২০০ জন চাকরি প্রার্থী রয়েছেন রাজ্যে। এদিনের বিক্ষোভ থেকে তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন।
তাদের কথায়, শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন টেট উত্তীর্ণ এবং পরবর্তীতে ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ধাপে ধাপে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হবে। তাই অনেকেই শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে ভরসা করে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েও ট্রেনিং সম্পূর্ণ করেছেন। এখন চাকরী তো দূর এখন তারা চরম আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিনযাপন করছেন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/before-21-there-were-indications-of-another-revolution-in-the-land-of-singur/
রাজ্যে শেষ বার প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালে। একাধিক বিতর্কের পর ২০১৬ সালে তার ফল প্রকাশ করা হয়।
এরপর ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে টেট নেওয়ার জন্য আবারও বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কয়েক লক্ষ চাকরি প্রার্থী তাতে আবেদন করে। যদিও এতদিনেও নেওয়া হয়নি সেই পরীক্ষা।
কিন্তু এমতপরিস্থিতিতে ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের।করোনার সঙ্কট কাটিয়ে যত দ্রুত সম্ভব প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন রাজ্যের কয়েক হাজার ডি.এল.এড প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা।