লকডাউনের পরও ক্রেতার দেখা নেই, খুলেও লোকসানের কারণে বন্ধ বহু রেস্তোরাঁ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এখনও করােনা সংক্রমণের ভয়ে কাঁটা কমবেশি প্রত্যেকেই। তাই হাজার রকমের আয়ােজনের পরও ক্রেতার দেখা নেই শহরের রেস্তরাঁগুলােতে।
ফলে রুজি রােজগারের স্বপ্ন নিয়ে প্রায় আড়াই মাস পর রেস্তোরাঁ খুলেও মাছি তাড়াচ্ছেন মালিকরা। নষ্ট হচ্ছে মাছ-মাংস-অনাজ। জায়গার হেরফেরেও এই ছবির বদল নেই।
পার্ক স্ট্রিট থেকে সাউথ সিটি মল বা বাইপাস থেকে করুণাময়ী সাজিয়ে বসা বাতানুকূল দেশি-বিদেশি খাবারের রেস্তোরাঁ সর্বত্রই ছবি কমবেশি এক। কোথাও আশানুরূপ ক্রেতার দেখা নেই।
তাই রেস্তোরাঁ খোলার দিন দশেক যেতে না-যেতেই আনলকের বাজারেও একের পর এক ঝাঁপ পড়ছে হােটেল, রেস্তেরাঁ, ক্যাফের। বহু মালিকের কথায়, দিনে এক থেকে দেড় হাজার টাকার বিক্রি হচ্ছে। কোনও কোনওদিন তাও নয়।
করোনার আবহে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলো কলকাতা জেলা ছাত্র পরিষদ
তা দিয়ে রেস্তোরাঁয় যাবতীয় খরচ, কর্মীদের বেতন, ট্যাক্স, বিদ্যুতের বিল, এত কিছু দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে খােলার পরও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিচ্ছেন অনেকেই।
প্রত্যেকেরই বক্তব্য, বার না-খােলা পর্যন্ত এই সমস্ত বড় বড় রেস্তোরাঁ চালানাে অসম্ভব। বার খুললে তবু কিছু কাস্টমার পাওয়া যাবে। মদ্যপান করতে এসে তাঁরা খাবার খাবেন। না-হলে এমনিতে এই পরিস্থিতিতে কেউই বিশেষ রেস্তোরাঁর খাবার খাচ্ছেন না। ভরসা বলতে শুধুই কিছু হােম ডেলিভারি।
সরকারের দেওয়া নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ৮ জুন থেকে খােলা হয়েছিল হােটেল রেস্তোরাঁ। যে পরিমাণ আসন সংখ্যা তার ৫০ শতাংশ ক্রেতাকে বসানাের অনুমতি দিয়েছিল সরকার।
কিন্তু মালিকদের কথায়, অর্ধেক আসন তাে দূর, কোনও কোনও দিন একজন ক্রেতাও হচ্ছে না। ফলে লােকসানের বহর বাড়ছে। এমনিতেই ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করানাে হচ্ছে। কিন্তু তাতেও রেস্তোরাঁগুলাে চালানাে সম্ভব হচ্ছে না।
এখনও শহরের ৬০ শতাংশ রেস্তোরাঁ খােলেইনি। তবু যারা খুলেছিলেন তারাও আস্তে আস্তে বন্ধ করছেন। গত চারদিনে বাইপাস, করুণাময়ী, সাউথ সিটি পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে অন্তত কুড়ি থেকে পঁচিশটি রেস্তোরাঁ ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।