নন্দীগ্রামের ভোট মিটলেও তৃণমূল সুপ্রিমোর নিশানায় শুভেন্দু
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নন্দীগ্রামে শিশির-শুভেন্দুকে সঙ্গে নিয়েই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জমি অধিগ্রহণ করতে যান ৷ 2007 সালে নন্দীগ্রামে গুলি চালনার ঘটনায় জড়িত ছিলেন শুভেন্দুরা ৷ ঘটনার পর-পরই নাকি একথা জানতে পারেন মমতা ! বৃহস্পতিবার বাংলা বছরের প্রথম দিন একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক তৃণমূল নেত্রী ৷
ক্ষোভের সঙ্গে এদিন মমতা বলেন, মেদিনীপুর জেলায় এখনও অবধি তিনি গেছেন হাতে গুনে কয়েকবার ৷ রাজ্যের অন্যান্য জেলায় যেমন তাঁর অবাধ যাতায়াত তেমনটা কখনওই মেদিনীপুরে থাকেনি ৷ তার কারণ নাকি অধিকারী “বাপ-বেটা” ৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বছরে একবার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিভিউ মিটিং ছাড়া বেশি ওই জেলায় যাননি বলে দাবি করেন মমতা ৷
তারপরও শুভেন্দু অধিকারীকে মন্ত্রিত্ব, শিশির অধিকারীকে গুরুত্বপূর্ণ পদ কেন দিলেন এই প্রশ্নের উত্তরে নেত্রীর অকপট স্বীকারোক্তি, “ওটা আমাদের একটু ভুলই হয়ে গেছে ৷ ঘরের বিবাদ সামনে আনতে চাইনি ৷ জনসমক্ষে আনতে চাইনি ৷ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম ৷”
সম্ভবত বদলাচ্ছে না ভোটের সুচী, সর্বদলীয় বৈঠকে আভাস নির্বাচন কমিশনের
স্পষ্ট বললেন, “বলতে পারেন এদের একপ্রকার আমি সহ্যই করেছি ৷”2007 সালের 14 মার্চ নন্দীগ্রামে গুলি চলার পরপরই তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে শুভেন্দুদের আঁতাতের কথা জানতে পেরেছিলেন বলে সাক্ষাৎকারে বলেন তৃণমূল নেত্রী ৷
বলা বাহুল্য, এদিন একাধিকবার শুভেন্দু এন্ড কোং, অর্থাৎ যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে তাদের মিরজাফর, গদ্দার বলে সম্বোধন করেন মমতা ৷ সোজাসুজি জানিয়ে দেন, তিনি এদের নিয়ে কোনও কথাই বলতে চান না ৷ নাম নেওয়া তো দূরের কথা ৷ এবং সত্যি সত্যিই গোটা সাক্ষাৎকারে তাঁকে মুকুল-শুভেন্দু-শিশির-রাজীব-বৈশালীদের নাম মুখেও আনতে শোনা যায়নি ৷