রাতভর রোমাঞ্চের পরেও রাজস্থানে দড়ি টানাটানি অব্যাহত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার দুপুরে রাজভবনে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট এবং তার ১০২ জন বিধায়কের টিম। অবিলম্বে বিধানসভা শুরুর আবেদন জানিয়ে চার ঘন্টা ধরে রাজভবনেই ধর্না দেন তাঁরা।
শুক্রবার রাতেই নিজ বাসভবনে কেবিনেট বৈঠক করেন গেহলোট। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার পর রাজ্যপাল কলিরাজ মিশ্রের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। শনিবার ফের সন্ধ্যাবেলা কাউন্সিল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তিনি।
গতকাল রাজস্থান হাইকোর্টের শুনানি চলাকালীন স্বস্তি খুজে পায় পাইলট। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের মাথার ওপর মেঘ ক্রমশ ঘনিয়ে আসছিল। তড়িঘড়ি সংখ্যাগরিষ্ঠার প্রমাণ করতে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
রাজ্যপালের বাসভবন ঘিরে চলে বিক্ষোভ। এতদিন ধরে মরুপ্রদেশের রাজনৈতিক ডামাডোলে পাইলট বনাম গেহলোট ছিল, এখন তাতে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের নাম যুক্ত হল।
শুক্রবার রাতে গেহলোটের বাসভবনে প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে বৈঠক চলে। কেবিনেট বৈঠকে স্থির হয়, সম্প্রতি করোনা ভাইরাস এবং অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিধানসভা চালু করার প্রস্তাব রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে।
শনিবার সকাল থেকেই প্রত্যেকটি জেলার কংগ্রেস সদর দফতরে প্রতিবাদে শামিল হন কংগ্রেস সমর্থকরা। যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে সরকার ভাঙার স্লোগান তোলা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী গেহলোট ১০২ জন বিধায়কের নাম রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছে জমা দিয়েছেন। যতক্ষণ না রাজ্যপাল বিধানসভা অধিবেশন শুরুর অনুমতি দেন ততক্ষণ এই প্রতিবাদ চলবে বলে জানানো হয়েছে।
পাল্টা রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র জানিয়েছেন, সংবিধানের নিয়ম মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। এত কম সময়ের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে বিধানসভা শুরুর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিধানসভা শুরুর জন্য রাজ্যপালকে ২১ দিনের সময় দিতে হয়। এক বিবৃতিতে এই তথ্য সামনে এনেছেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র।
লকডাউন বারাসাতঃ ড্রোন ক্যামেরায় চলছে নজরদারী
যদিও এখনও অবধি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের বিশ্বাস রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী পদে অটুট থাকার জন্য তাঁর কাছে সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে। এমনকি তিনি আরও বলেন, শচীন শিবিরের তিন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। পরিস্থিতি ঠিক হলে তারাও গেহলোট শিবিরে এসে যোগদান করবেন।
অন্যদিকে ৩০ জন বিধায়কের সমর্থনের কথা পাইলট শিবির ঘোষণা করছিল, তাদের কাছে এই মুহুর্তে বিধায়কের সংখ্যা মাত্র ১৯। বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা যোগ করলে এখনও গেহলোট শিবিরের থেকে অনেক পিছিয়ে। তবে শচীন এবং তার সঙ্গিদের বিধায়ক পদ থেকে বরখাস্ত করা হলে এডভান্টেজ হবে গেহলোটের।
রাজস্থানের অন্দরে যে জবরদস্ত দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে তার শেষ কোথায় হয়? সরকার টিকিয়ে রাখতে কি পারবে গেহলোট। মরু প্রদেশের রাজনৈতিক আবহাওয়ার দিকে তাকিয়ে দিল্লি সহ গোটা দেশ।