অবশেষে অভিশপ্ত পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলা শুরু হল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে রাজ্য অবশেষে মঙ্গলবার থেকে মধ্য কলকাতার অসমাপ্ত পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হল। স্ট্র্যান্ড রোডের উত্তর অংশ বুধবার থেকেই দুই মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৫০ দিনের মধ্যে চার দফায় এই উড়ালপুল ভেঙে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে বলে পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রথম দফায় হাওড়া সেতুর সামনে থেকে পোস্তা মোড় পর্যন্ত ভাঙার কাজ হবে।

আশেপাশের বাড়ি এবং দোকানের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেই দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হবে বলে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন।

ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উড়ালপুল ভাঙার জন্য এদিন বিকল্প পথে যান চলাচল হচ্ছে৷ মহর্ষি দেবেন্দ্র রোড, এ কে টেগোর স্ট্রিট ও গণেশ টকিজ হয়ে গাড়ি চলাচল করছে। এছাড়াও মহাত্মা গান্ধী রোডকে বড় গাড়ির জন্য দ্বিমুখী করে দেওয়া হয়েছে৷ দক্ষিণমুখী গাড়ি যাবে নলিন শেঠ রোড হয়ে৷

মন্ত্রীসভার রদবদল নিয়ে বৈঠকে অমিত শাহ

২০১৬ সালের ৩১ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ভেঙে পড়েছিল বিবেকানন্দ রোডের ওপর পোস্তা উড়ালপুলের একাংশ৷ ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৭ জনের৷ উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পর বিশেষ কমিটি তদন্ত করে৷

কমিটিতে রয়েছে খড়গপুর আইআইটির তিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ও রাজ্যের তদানীন্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সূত্রের খবর,সংশ্লিষ্ট এলাকার মাটির মান পরীক্ষা করে কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার মাটির মান খুবই খারাপ৷ তাই ওখানে ভবিষ্যতে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হলেও তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না৷

দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে উড়ালপুল ভেঙে ফেলার পক্ষেই মত দেয় কমিটি৷ দুর্ঘটনার পাঁচ বছর কেটে যাওয়ার পর অবশেষে এদিন উড়ালপুলটি ভাঙা হচ্ছে৷ দূষণ এড়াতে উন্নতমানের যন্ত্র ব্যবহার করে চারপাশ ঘিরে দিয়ে সেতুটি ভাঙা হবে বলে জানা গিয়েছে কেএমডিএ সূত্রে।

অমরিন্দর সিংয়ের বাসভবনের সামনে ধর্না, শিরোমণি আকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদলকে আটক করল পুলিশ

এদিকে উড়ালপুল ভাঙা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে৷ বহু টাকা খরচ করে তৈরি নির্মীয়মাণ একটি উড়ালপুল কেন ভেঙে পড়ল, কেনই বা পুরোটা এত দিন বাদে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হল?

পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার দায়িত্ব পেয়েছে রাইটস। তবে পিলার ভাঙার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। উড়ালপুল ভাঙার জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। আপাতত উড়ালপুল ওপরের ঢালাইয়ের অংশ ভেঙে ফেলা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট