উপেক্ষিত লকডাউন, বারাসাতে সারাদিন খোলা দোকানপাট, চলছে অবাধ যাতায়াত

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: কোভিড মোকাবিলায়  বারাসাত পৌরসভা অঞ্চল জুড়ে দুপুর একটার পরে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

পৌরসভা থেকে নির্দিষ্ট সময়ের পরে  দোকান পাট বন্ধের নির্দেশিকা জারী হলেও সকাল থেকে রাত্রি অব্দি খোলা।

বৃহস্পতিবার থেকে বারাসাত জুড়ে  আংশিক লকডাউনেও  বারাসাত পৌরসভার  নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সর্বক্ষণ  খোলা থাকছে  ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও বড় দোকান। খোলা থাকছে মদের দোকানও।

লকডাউনের মধ্যে খুলে রাখা দোকান কর্তৃপক্ষ হাতিয়ার করছেন রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাকে।

তাঁরা দাবী করছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মতে  লকডাউনে স্ট্যান্ড এলোন শপ খোলা থাকতে পারে।

তাঁদের দাবী রাজ্য সরকারের ‘এক ছাদের তলায় এক দোকান ‘  খোলা রাখার নির্দেশ মেনেই তাঁরা দোকান একটার পরেও খোলা রাখছেন ।

ফলে লকডাউন করে  সংক্রমণের আশংকা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে পৌরসভার নির্দেশিকা সম্বলিত উদ্যোগে জল ঢেলে দিতে রাজ্য সরকারের একটি  নির্দেশিকাকে  ঢাল করেছে কিছু দোকান ।

রোগ প্রতিরোধের কথা মাথায় রেখে  বারাসাত পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলী অবশ্য আইনকে  ঢাল না করে করোনা রোগ মোকাবিলায় ব্যবসায়ী মহলকে সহযোগিতা করতে আহ্বান করেছে।

বারাসাতে আংশিক লকডাউন জারী বৃহস্পতিবার থেকেই। আপাতত সময়ভিত্তিক লকডাউন বলবৎ থাকছে মোট  সাতদিন।

এসময়  তথাকথিত  বড় মাপের  বেশ কিছু বিপনী, শপিং মল খোলা থাকলেও ছোটোমাপের সমস্ত দোকান তো বটেই বেশ কিছু বড় দোকান ও বন্ধ  হয়ে যাচ্ছে একটার আগে ।

তথাপি  সময়ভিত্তিক  সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন দোকান সকাল থেকে রাত পর্যন্ত  খোলা রাখছেন কিছু ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ।

পাশাপাশি বড় ডিপাটমেন্টাল স্টোর ছাড়াও কিছু শপিং মলও খোলা। ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তো বটেই, কিছু বৃহৎ দোকানের মালিকরাও ক্ষুব্ধ।

কার্যত অসহায় ভাবে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁরা।  পাশাপাশি তাঁরা বলছেন করোনা নিয়ন্ত্রণে তাঁরা প্রশাসনিক উদ্যোগকে করতে ইচ্ছুক।

অন্যদিকে,   সাধারণ মানুষের কাছে সঠিকভাবে বার্তা না পৌছানোর ফলে  বিভ্রান্তি বেড়েছে। এক ছাদের তলায় এক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কথা বলা হলেও শপিং মলে একই ছাদের তলায় একটি প্রতিষ্ঠানের ছাতার মধ্যে একাধিক দোকান খোলা।

তাঁরা বলছেন আবগারি বিভাগকে জানিয়ে তাঁরা দোকান খুলেছেন এবং পরবর্তীতে পৌরসভা বা  প্রশাসন থেকে সারাক্ষন দোকান খোলা রাখার বিরুদ্ধে কোনো চাপ বা বিশেষ বার্তা আসেনি।

এ বিষয়ে বারাসাত পৌরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনস্ট্রেটরস এর কার্যনির্বাহী প্রশাসক অশনি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন আইনকে হাতিয়ার না করে আইনের ফাঁক গলে না বেরিয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখে সব  ব্যবসায়ীরা তাঁদের সহযোগিতা করুন, এটাই  কাম্য।

তিনি জানিয়েছেন করোনার বাড়বাড়ন্ত অন্য অনেক স্থানের মত বারাসাতের  শহরজুড়ে। মানুষ বাঁচলে তবেই  ভবিষ্যতে আরো ব্যবসার সুযোগ থাকবে, অভিমত বারাসাত  পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের কার্যনির্বাহী প্রশাসকের।

সম্পর্কিত পোস্ট