Exclusive: মাস্টারস্ট্রোক , এআইসিসির পরবর্তী সভাপতি গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ…!
রাহুল গান্ধী কি তবে শুধুই একজন সাংসদ হিসাবে থেকে যাবেন? নাকি লোকসভার বর্তমান নেতা অধীর চৌধুরীর জায়গায় তাকেই নেতা করা হবে?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২৪শে আগষ্ট ‘২০২০ সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরী হয়েছে।
কারণ, এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হতে পারে পরবর্তী সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতির নাম। ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কিছু কংগ্রেস নেতা একজন সর্বক্ষণের জন্য সভাপতি চেয়ে বর্তমান সভানেত্রীর কাছে আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য, শারীরিক অসুস্থতার জন্য সোনিয়া গান্ধীর পক্ষে আগের মত দলের কাজে সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া আগামী নভেম্বর মাসে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন এবং তার পরেই তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম সহ চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হবে।
স্বাভাবিক কারণেই এআইসিসি সভাপতিকে সব রাজ্যে প্রচার সহ দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনেক বেশী চাপ নিতে হবে।
এখন প্রশ্ন কে হবেন এআইসিসির পরবর্তী সভাপতি?
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যখন রাহুল গান্ধীকেই আবারও সভাপতি হিসাবে চাওয়া হচ্ছে তখন রাহুল গান্ধী নিজেই সে দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। ইতিমধ্যেই রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা দুজনেই গান্ধী পরিবারের বাইরের কোনো নেতাকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত করার কথা বলেছেন। যদি এমনটাই হয় সে ক্ষেত্রেও কে হবেন সেই ব্যাক্তি?
এই মুহুর্তে দক্ষিণ ভারতই একমাত্র জায়গা যেখানে বিজেপি আজও তেমন কিছু প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। সেক্ষেত্রে একজন দক্ষিণ ভারতীয় নেতা জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি হতেও পারেন।
গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে এ কে এ্যান্টনি, শশী থারুর, পি চিদাম্বরমরা এই তালিকায় আছেন। আর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি যদি গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করেন, বর্তমান রাজনীতিতে সেটা একটা মাস্টার স্ট্রোক হবে।
বিজেপি দল তথা মোদীজী যেভাবে বারবার কংগ্রেস দলের নামে পারিবারিক রাজনীতির অভিযোগ আনেন, গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ দলের সভাপতি হলে সেই অভিযোগটাও ভোঁতা হয়ে যাবে।
কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী ! জল্পনা তুঙ্গে
এক্ষেত্রে প্রশ্ন, রাহুল গান্ধী কি তবে শুধুই একজন সাংসদ হিসাবে থেকে যাবেন? নাকি লোকসভার বর্তমান নেতা অধীর চৌধুরীর জায়গায় তাকেই নেতা করা হবে?
তেমনটা হলে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় এবং ডাকাবুকো সাংসদ অধীর চৌধুরীর পরবর্তী গন্তব্য হয়তো আবারও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিত্ব।
সর্বভারতীয় নেতৃত্ব ছেড়ে রাজ্য নেতা হয়ে ফিরে আসাটা হয়তো অধীর চৌধুরীর জন্য অবনয়ন কিন্তু দল চাইলে তাকে সেই দায়িত্ব নিতে হতেও পারে। মনে রাখতে হবে, আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার সাধারণ নির্বাচন।
অধীরবাবুর অধীনে থেকে এ রাজ্যে তাঁর দল ভালো ফল করলে, রাজনীতির মারপ্যাঁচে অধীরবাবুর ভাগ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীত্বও জুটে যেতে পারে। তেমনটা হলে আজকের এই অবনয়ন শব্দটাই অধীর চৌধুরীর জন্য উন্নয়নের সবচাইতে বড় সোপানে রুপান্তরিত হবে।