জামিয়ায় হামলা চালাল কারা? নয়া ভিডিও প্রকাশ জামিয়ার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত ডিসেম্বরের ক্ষত এখনও অবধি দগদগে রয়েছে। এরই ২ মাসের মধ্যে আরও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-অর্ডিনেশন কমিটি। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্ররা এই কমিটির সদস্য বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার সোশ্যাল মাধ্যমে জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটি প্রকাশিত ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রিডিং হলে বসে পড়াশুনা করছিল বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। আচমকাই পুলিশ হলের ভিতর ঢুকে হামলা চালায়।
আরও পড়ুনঃ দেশের রাজধানীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যায় পড়ুয়ারা, দিল্লি সরকারের রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
একজনকে দেখা যাচ্ছে ডেস্কের তলায় লুকিয়ে পড়তে। অন্য একজন নিজেকে বাঁচাতে হলের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে। এমনকি ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
Exclusive CCTV Footage of Police Brutality in Old Reading Hall, First floor-M.A/M.Phill Section on
15/12/2019
Shame on you @DelhiPolice @ndtvindia @ttindia @tehseenp @RanaAyyub @Mdzeeshanayyub @ReallySwara @ANI @CNN @ReutersIndia @AltNews @BBCHindi @the_hindu @TheQuint @BDUTT pic.twitter.com/q2Z9Xq7lxv— Jamia Coordination Committee (@Jamia_JCC) February 15, 2020
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ১৫ ডিসেম্বর কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিলে নামে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মিছিলকে ঘিরে ক্রমশ অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেখা যায়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাস।
পড়ুয়াদের মিছিল আটকাতে প্রথমে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। এরপর ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। ঘটনায় দৃষ্টি হারায় একজন পড়ুয়া।
আরও পড়ুনঃ ট্রাম্প আসবেন, যাত্রাপথে দেওয়াল তুলে বস্তি ঢাকছে আমেদাবাদ পুরসভা
ঘটনার পর থেকেই সংশোধিত আইনের প্রতিবাদে সরব হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারা। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় বিশ্বের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলি।
ঘটনার পর দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালায়নি পুলিশ। শনিবার নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইটারে লেখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তাঁর পুলিশ ছাত্রদের ওপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে তা ভীষণভাবে নিন্দনীয়।
ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর যদি সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে এর পিছনে কি অভিসন্ধি রয়েছে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।