EXCLUSIVE STORY: নেতা থেকে জননেতা শুভেন্দু অধিকারী

||অনুপম কাঞ্জিলাল, সাংবাদিক ||

শুভেন্দু অধিকারী যে ভাবে নেতা থেকে হয়ে উঠলেন জননেতা…….পর্ব-১

এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার পেছনে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ভূমিকা কারোর পক্ষেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়।

একই সঙ্গে অস্বীকার করা যায় না সেই নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে সংগঠিত করে তাকে রাজ্যব্যাপি বামবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা।

বরং বলতে হয় সেদিনের নন্দীগ্রাম প্রতিরোধ আন্দোলনের মধ্যস্থতাতেই আজকের রাজ্য পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উত্তরণ হয়েছে নেতা থেকে জননেতায়।

নেতৃত্বের গুনেই শুভেন্দু এখন নেতা থেকে জননেতা। রাজনীতির ময়দানে তৃণমূল শিবিরের কেউই তাঁর মত মাটি থেকে লড়াই করতে করতে উঠে আসা নয়।

মা মাটি মানুষের নেত্রীর প্রধান সহচর হিসেবে তাই শুভেন্দুকে চিহ্নিত করতে কারোর কোন দ্বিধা থাকার অবকাশ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জননেত্রী। আর তার পরে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের কাছে জননেতা বলে যদি কেউ একবাক্যে স্বীকৃত হন তিনি হলেন শুভেন্দু অধিকারী।

রাজনীতি তাঁর কাছে কোন কৌশল নয়, রাজনীতি তাঁর কাছে অবিরাম জীবন শিক্ষার অঙ্গ বলেই তাঁর বিশ্বাস।এই বিশ্বাস দিয়েই তিনি মানুষকে জয় করেন,তিনি নিজে রাজনীতির ময়দানে বার বার জিতে যান।

জিতে যান কারণ তার আগে মানুষকে তিনি এই বিশ্বাসে স্থিত করতে পারেন যে তাঁর জিতে যাওয়ার সঙ্গে মানুষের জিতে যাওয়াটাও এক সূত্রে বাঁধা পড়ে আছে।এই যোগসূত্র তৈরি করতে পারাটা আজকের রাজনীতিতে বড় কম কথা নয়।

শুভেন্দু অধিকারীর স্তাবকতা করা নয় বরং সত্য ও যুক্তির নিরিখে যদি তাঁর রাজনৈতিক উত্থানপর্বকে একটু পর্যোলচনা করা যায় তবে দেখা যাবে তিনি যা হয়েছেন সেটা তার নিজের লাগাতার কর্মপ্রয়াসের মধ্য দিয়েই অর্জিত। কোনটাই কেউ তাকে পাইয়ে দেয়নি।

শুভেন্দু যখন মিডিয়ার নজরে আসতে শুরু করেন তখন নন্দীগ্রাম পর্বের সূচনা। অনেকেরই হয়তো এখন আর মনে নেই। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সূচনা হয় সেই সময়কার হলদিয়া ডেপলপমেন্ট অথরিটির একটি নোটিশকে কেন্দ্র করে। সেই নোটিশে বলা হয় নন্দীগ্রাম সংলগ্ন একটা বড় অঞ্চলের জমি অধিগ্রহণ করা হবে কেমিক্যাল হাব তৈরি করার কাজে।

সেই নোটিশকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়। জমি রক্ষা করার শপথ নিয়ে এলাকার মানুষ আন্দোলনে নামতে শুরু করে। মনে রাখতে হবে সেই সময় সেসব এলাকায় বামেদের সংগঠন ছিল দৃঢ়।

লক্ষণ শেঠ ছিলেন এলাকার সর্বময় কর্তা।তার কথাতে সেই সব এলাকায় সেসময় বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত বলে মানুষ জানে।নন্দীগ্রামের সেই প্রতিবাদকে একটু একটু করে মহীরুহ করে তোলার কৃতিত্ব অবশ্যই শুভেন্দু অধিকারীর।

দোর্দান্ড প্রতাপশালী বামেদের প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করে মেদিনীপুরের এক অনামি তরুণ সেদিন এক অন্য লড়াইয়ের বার্তা দেয় মানুষকে।

ক্রমশ…

সম্পর্কিত পোস্ট