চোখ জ্বলছে পেট্রোলে, প্রতিবাদের অস্ত্র সাইকেল
নয়ন রায়
২০২০ সংসদ অধিবেশন চলাকালীন কৃষি বিল নিয়ে চূড়ান্ত বিরোধিতায় নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সহ সমস্ত রাজনৈতিক দল। সেবার গান্ধী মূর্তি পাদদেশে সারারাত ধরে বিপ্লবের গান গেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রীকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।
চলতি বছর করোনার তৃতীয়ওয়েভ নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক মহল। তার মধ্যেই অধিবেশনের প্রথম দিন তৃণমূল কংগ্রেস কোমর বেঁধে নেমে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতায়। এরকম পরিকল্পনা ছিল কারণ পেট্রোপণ্য ও জ্বালানির আকাশছোঁয়া দাম। প্রতিবাদে সংসদের ভেতরে সাইকেলে চেপে প্রতিবাদের ছবি সারাদেশ দেখল।
এবারের বাদল অধিবেশন সরকারের কাছে যত বেশি চ্যালেঞ্জ ঠিক ততটাই আগামী ২০২৪ সালে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখার। তাই কোমর জলে নামতে চলেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কক্ষের সাংসদরা। কোনভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ব্যাটন দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস।
বাংলার মাথায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মেঘ, সিকিমে শতাধিক আক্রান্ত
কারণ ২০২৪ সালে ভারতবর্ষে রাজনীতির ক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তাই ২১ জুলাই শহীদ দিবসে দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ বাদ যাচ্ছে না উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও ভার্চুয়ালি সভা। তার মধ্যেই অধিবেশনের প্রথম দিন সাইকেলে চেপে সংসদ যাত্রা রাজনৈতিকভাবে তাপ উত্তাপ বাড়াচ্ছে। যা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
একদিকে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা। যদিও সরকার করোনা নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত। কিন্তু পাশাপাশি কৃষি বিল এবং ব্যঙ্ক বেসরকারিকরণ বিলের প্রতিবাদ এবং পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ।
বাদ যাবেনা নিশীথ প্রামাণিকের নাগরিকত্ব ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস সংসদের ভেতরে সংসদের বাইরে সরব হবে। সব মিলিয়ে এবারের বাদল অধিবেশন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যেমন চ্যালেঞ্জের তেমনি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু কাছে আরো বেশি চ্যালেঞ্জ। কারণ অধিবেশনকে সচল রাখা।
২০২৪-র আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলি কতটা ছাপ ফেলতে পারে তা বাদল অধিবেশনেই পরখ করে নেবে দেশের মানুষ। কারণ ‘চলো পাল্টাই’ স্লোগান আর ‘দিদিকে চাই প্রধানমন্ত্রী’ এই সেন্টিমেন্টকে কোনভাবেই হালকা চোখে দেখছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই লোকসভার ভেতরে এবং রাজ্যসভার ভেতরে দুই কক্ষেই তীব্র ঝাঁঝালো আক্রমনাত্মক মনোভাব দেখাবে তৃণমূল কংগ্রেস মত রাজনৈতিক মহলের।