আগামীকাল থেকে ভারতে বন্ধ হচ্ছে ফেসবুক-টুইটার ! শোরগোল নেট-দুুনিয়ায়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  কেন্দ্রের জারি করা সোশ্যাল মিডিয়া গাইডলাইন এখনো লাগু করেনি ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম। অন্যদিকে আজই শেষ হচ্ছে সেই গাইডলাইন লাগু করার দিন। তা না হলে আগামীকাল থেকেই ভারতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে জনপ্রিয় এই তিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে নেট নাগরিকদের মধ্যে।

সোশ্যাল মিডিয়ার যথেচ্ছ ব্যবহারে রাশ টানতেই গত 25 শে ফেব্রুয়ারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। সময় দেওয়া হয় তিন মাস। তিন মাসের সময়সীমা শেষ হতে চলেছে। এখনো পর্যন্ত জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি কু ছাড়া অন্য কোন সংস্থা তরফের এই নির্দেশিকার জবাব পাঠানো হয়নি।

কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই ৩ সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে গাইডলাইন না মানা হলে। একইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে সেই নির্দেশিকায় জানানো হয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য ত্রিস্তরীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আনা হচ্ছে।

গাইডলাইনে কি কি নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র?

  • প্রত্যেক সংস্থাকে তাদের ভারতে থাকা দপ্তরের ঠিকানা, যোগাযোগের নম্বর এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের নম্বর দিতে হবে।
  • প্রত্যেক প্লাটফর্মে যোগাযোগের জন্য একজন মুখ্য আধিকারিককে নিয়োগ করতে হবে যিনি আইন রক্ষকদের সঙ্গে সবসময় সমন্বয় বজায় রেখে চলবেন।
  • কোনরকম আপত্তিকর কনটেন্টের ওপর নজরদারি চালাতে হবে।
  • সেই সঙ্গে জমা করতে হবে সেই কনটেন্ট সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য।
  • প্রয়োজনে তা ডিলিট করতে হবে।
  • ওয়েব সিরিজ থেকে চ্যাট শো, তথ্য চিত্র থেকে ওয়েব নিউজ সবই আসবে এই নিয়মের আওতায়।
  • নয়া বিধি অনুসারে প্রত্যেক সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে থাকবে অভিযোগ জানানোর বিভাগ।
  • ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • সব বিষয় বা কন্টেন্টকে বয়স-ভিত্তিক পাঁচটি শ্রেণিতে বিভক্ত করতে হবে।
  • সেগুলি হল — ‘ইউনিভার্সাল (ইউ)’, ‘ইউ/এ ৭+’, ‘ইউ/এ ১৩+’, ‘ইউ/এ ১৬+’, ও ‘প্রাপ্তবয়স্ক’। শেষ তিন শ্রেণির জন্য রাখতে হবে পেরেন্টাল লক।

‘যশ’ মোকাবিলায় আজ রাতে নবান্নেই মমতা

প্রসঙ্গত এই নির্দেশিকার ফলে সেসময় দাবি উঠেছিল, সোশ্যাল মিডিয়ার স্বতন্ত্রতা এবং স্বাধীনতা খর্ব করতে চাইছে কেন্দ্র। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল সরকার যদি কোনো কন্টেন্ট আপত্তিকর বলে মনে করে তখনই তা মুছে ফেলার দাবি তুলবে। এতে বিরোধী রাজনৈতিক মত প্রকাশও একপ্রকার বন্ধ হয়ে যাবে।

তবে একথা স্পষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করার নিয়মাবলী মানতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের খুঁটিনাটি কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে যাবে।

তবে ফেসবুকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা তারা মেনে চলতে চায়। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু আলোচনা প্রয়োজন। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে অপারেশনাল প্রক্রিয়া এবং তা প্রয়োগের কাজ চলছে। ফেসবুক চায় তাদের গ্রাহকরা নিজেদের মত প্রকাশ সুরক্ষিত এবং স্বাধীনভাবে যাতে করতে পারবে।

কেন্দ্রের এক আধিকারিক আজ সাফ জানিয়েছেন ২৫ তারিখের মধ্যে সরকারের গাইডলাইন মানতেই হবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিকে। অন্যথায় সরকার কঠোরতম আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত পোস্ট