সোমবার থেকে রিলে অনশনে বসছেন কৃষকরা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবার ২৬ দিনে পড়ল দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন। কেন্দ্র সরকারের আনা কৃষি আইনের প্রতিবাদে এবার দীর্ঘ সময়ের রিলে অনশনে নামলেন কৃষকরা। কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। দেশের অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের আন্দোলনে শামিল হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন কৃষকরা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরবর্তী ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে থালা বাজিয়ে প্রতিবাদের কথা জানানো হয়েছে কৃষকদের তরফে।

এই নিয়ে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলতি মাসে তৃতীয় বৃহত্তম পদক্ষেপ নিতে চলেছেন কৃষকরা। এর আগে একাধিকবার কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্র। কিন্তু কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় থেকেছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে কমিটি গঠন করে দ্রুত সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেই বৃহত্তর পথে নামলেন কৃষকরা। সোমবার থেকে রিলে অনশন চালাবেন তাঁরা।

অন্যদিকে কৃষি আইনে পরিবর্তন আনতে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় কেন্দ্র। এবিষয়ে ৪০ জন কৃষক সংগঠনের নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব বিবেক আগরওয়াল। কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ বিধানসভায় কৃষি আইনের কপি ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল

স্বরাজ ভারত প্রধান যোগেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, সোমবার থেকে ২৪ ঘন্টা করে কমপক্ষে ১১ জন কৃষক এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবেন। এর জন্য সারা দেশের কৃষকদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বুধবার কৃষকদের উদ্দেশ্যে দিনের একটি সময় অনশনের জন্য সারা দেশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ২৭ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান চলাকালীন থালা বাজিয়ে বিরোধিতা করবেন তাঁরা। তাঁর কথায় আমরা অনেক প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ শুনেছি। প্রধানমন্ত্রী কবে আমাদের মন কি বাত শুনবেন?

কৃষক দিবসের দিনে সমস্ত কৃষককে একবেলা অনশনের জন্য আর্জি জানিয়েছেন ভারতীয় কিশান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়িত। রবিবার আন্দোলনে মৃত কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস পালন করা হয়।

এই মুহুর্তে দিল্লির সিঙ্ঘু, তিরকি, ইউপি গেট এবং চিল্লা সীমান্তে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন কয়েক লক্ষ কৃষক। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কৃষকদের তরফে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম পেজ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ফেসবুক। কি কারণে পেজটি বন্ধ করা হয়েছে তা জানা যায়নি বলে দাবী ফেসবুকের।

কঠিন ঠান্ডার মধ্যেও ২৬ দিনে পড়ল কৃষকদের আন্দোলন। ইতিমধ্যেই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বেশ কিছু কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান সূত্র বের করতে ব্যর্থ সরকার।

সম্পর্কিত পোস্ট