কৃষকরা ঠান্ডায় অনশন করছেন, আর তাদের বাড়িতে ভোজ খাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :পার্থ চট্টোপাধ্যায়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাংলায় এসে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব যে কৃষকপ্রীতির কথা বলছেন তা যে আদতে লোকদেখানো এ দিন সে কথাই তুলে ধরল তৃণমূল। ঠান্ডায় বসে কৃষকরা আন্দোলন করছেন, সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। অথচ কৃষকের বাড়িতেই বসে ষোলো পদের ভোজ খাচ্ছেন! বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র মধ্যাহ্নভোজ-রাজনীতিকে ঠিক এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

সঙ্গে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি সাফল্যের ধারা জনসমক্ষে তুলে ধরেন। ‘দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে মানুষের উচ্ছাস দেখে বিজেপির ঈর্ষা হচ্ছে’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, এবার বঙ্গসফরের প্রথম দিন শাহ এক কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ করেন। দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজ করেন বাউল পরিবারে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/rajib-appeared-at-the-inaugural-function-of-the-full-fair-in-the-assembly-dispelling-rumors-of-a-change-of-party/

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, শাহ বঙ্গে ফিরলেই ফেরে ‘মধ্যাহ্নভোজের রাজনীতি’। তিন বছর আগে শাহের শুরু করা এই ‘রীতি’ নিয়ে এর আগেও একাধিকবার বিঁধেছে তৃণমূল। তবে সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের এই কটাক্ষ আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিকে, দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন জারি। কয়েক দিন আগেই দিল্লির আন্দোলন থেকে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করছেন এক কৃষক। ২৫ দিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে সামিল ছিলেন তিনি। ৬ লক্ষ টাকা ঋণের দায় ছিল তাঁর ওপর। এই বিষয়টিকেও এবার হাতিয়ার করেছেন বিরোধীরা।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “কৃষকদের জন্য ওঁরা কুমিরের কান্না কাঁদছেন। ঠান্ডায় বসে কৃষকরা আন্দোলন করছেন। অথচ সেই কৃষকদের বাড়িতে গিয়েই ষোলো পদের ভোজ খাচ্ছেন!” এদিন রাজ্য সরকারের তরফে বেশ কিছু খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। রাজ্যে কৃষকদের আয় ৩ গুণ বেড়েছে। ৪৯ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছে সরকার। সঙ্গে এও বলেন, “সেই সমস্ত নিন্দুকদের জানা দরকার. রাজ্য কেন্দ্রের থেকে ফসলের দাম সংগ্রহ করে না।”

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/msp-has-to-be-given-legal-recognition-the-farmers-demanded/

বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন পার্থ, যাতে গুরুত্ব পাচ্ছে মণীষী-স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। পার্থ জানিয়েছেন, ১ থেকে ৭ জানুয়ারি রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মান জানানো হবে।

বিবেকানন্দ, গান্ধীজি, বি আর আম্বেডকরদের স্মরণ করা হবে এই সময়ে। এ ছাড়া ১ জানুয়ারি পালিত হবে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। ২৬ জানুয়ারি জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হবে প্রজাতন্ত্র দিবস।

দুঃস্থ মানুষদের সাহায্য করা, হাসপাতালে ফল ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। ৩০ জানুয়ারি গাঁধীজির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ব্লকে ব্লকে শদীদ দিবস পালন করা হবে।

এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন বিজেপিকে বিঁধছেন কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই। তখন অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সরকারকে বিঁধছেন ‘বহিরাগত তকমা’ বিরোধিতা করেই।

দিলীপ ঘোষ বলেন, “মাদার টেরিজা, ভগিনী নিবেদিতা বিদেশ থেকে এসেছিলেন, তাঁরা আপন হয়ে গেলেন আর গুজরাত থেকে এলে বহিরাগত।” বলেন, “বাইরে থেকে লোক এলেই বলছে বহিরাগত। রবীন্দ্রনাথ যে “জন গন মন” লিখেছেন তাতে সারা দেশের নাম আছে।”

সম্পর্কিত পোস্ট